কলকাতা: আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ব্যস্ততাও। কাজের চাপ যত বেড়েছে, ততই কম সময়ে কাজ সারার প্রবণতা বেড়েছে। আগে শিলে বাটা মশলা ব্যবহার করা হত সব রান্নায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই অভ্যাস পুরনো হয়ে গিয়েছে। এখন গুঁড়ো মশলার যুগ। এই মশলার জন্য আমাদের ভরসা রাখতে হয় বাজারের নানা সংস্থার উপর। সাধারণ হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো ছাড়াও বিভিন্ন পদ রাঁধার জন্য আলাদা আলাদা মশলা পাওয়া যায়। এতে সময় হয়তো কম লাগে। কিন্তু শিলে বাটা মশলার অনেক গুণই হারিয়ে যেতে পারে। কী সেই গুণ? বিশদে জেনে নেওয়া যাক।


শিলে বাটা মশলার গুণ



  • মশলার স্বাদ অটুট থাকে: শিলে বাটা মশলার একটি ঝাঁঝ থাকে। সেই ঝাঁঝই মশলার আদি অকৃত্রিম ঝাঁঝ। অনেকেই হয়তো মাছ, মাংস শুধু সিদ্ধ করে নিলেও খাবারের উপযোগী হয়ে ওঠে। কিন্তু তাতে মশলা দেওয়ার বিশেষ কারণ রয়েছে। আর সেই কারণ হল রসনা তৃপ্তি। শিলে বাটা মশলা রসনায় লেগে থাকার মতোই হয়।

  • মশলার পুষ্টিগুণ: প্রতি মশলারই কিছু না কিছু গুণ রয়েছে। এই পুষ্টি উপকরণগুলি শরীরের জন্য বিশেষভাবে জরুরি। শরীরে এই পুষ্টি উপকরণ ঠিকমতো পৌঁছালে অনেক রোগ দূরে থাকে। শিলে মশলা বাটলে সেই পুষ্টিগুণ ঠিকভাবে আমাদের শরীরে পৌঁছায়।

  • মশলা খাঁটি না ভেজাল: অনেক সময় মশলায় ভেজাল হিসেবে রং মেশানো হয়ে থাকে। ঠিক যেমন পোস্তর মধ্যে সুজি থাকে। এই ধরনের ভেজালে শরীরের উপকারের বদলে ক্ষতি বেশি হয়। বাজার থেকে যে কোনও জিনিস কেনার সময় আমরা খাঁটি না ভেজাল যাচাই করে নিই। কিন্তু প্যাকেটজাত মশলা কিনলে বেশিরভাগ সময় তা করা হয় না। অনেকেই হয়তো করার সময় পান না। তাই ব্র্যান্ডের উপরেই ভরসা রাখতে হয়। গুঁড়ো মশলা ব্র্যান্ডেড না হলেও একই পরিস্থিতি। কিন্তু বাটা মশলায় ভেজালের ঝক্কি নেই। কারণ এই মশলা চোখের সামনেই বেটে নেওয়া হয়। 

  • মশলার গন্ধ: মশলার পুষ্টিগুণ, খাঁটি না ভেজাল এসব দেখার পরও আরেকটি জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ। ‘রান্নার গন্ধ ভেসে আসছে’- এই অনুভূতির পিছনে অনেকটাই ভূমিকা রয়েছে বিভিন্ন স্বাদ ও গন্ধের মশলার। বাটা মশলার মধ্যে সেটি যেই পরিমাণে পাবেন, তা গুঁড়ো মশলার মধ্যে ততটা পাওয়া যায় না।


শিলে বাটা মশলা সংরক্ষণও করা যায়। এর জন্য এয়ারটাইট কনটেনার ব্যবহার করতে হবে। রোজ দরকার পড়ে এমন কিছু মশলা একবারে বেটে এভাবে সংরক্ষণ করতে পারেন। এতে ভেজালের হাত থেকে নিস্তার পাবেন। পাশাপাশি মশলার পুষ্টিগুণ, স্বাদ, গন্ধও অক্ষত থাকবে। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Fish Head: মাছের মাথা খাবেন না ফেলে দেবেন ? কী আছে এতে