কলকাতা: ইতিমধ্যেই বাজারে বেশ রসালো আনারস (Pineapple) পাওয়া যাচ্ছে। দেখে কার না খেতে ইচ্ছে করে! ছোট থেকে বড়, প্রায় সকলেই আনারস ফলটি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু যখনই কোনও খাবারের কথা হয়, সমস্যায় পড়েন মধুমেহ রোগীরা। তাঁদের যে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। কারণ, মধুমেহ একবার কারও শরীরে দেখা দিলে তা বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয় সারাজীবন। তবে, চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চললে মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই যত পছন্দই হোক না কেন, সঠিক তথ্য না জানা থাকার কারণে আনারসের দিকে তাকাতে কিছুটা ভয়ই পান মধুমেহ (Diebetes) রোগীরা। বিশেষজ্ঞরা কী জানাচ্ছেন? মধুমেহ রোগীরা কি আনারস খেতে পারবেন?
মধুমেহ রোগীদের স্বাস্থ্যে আনারসের প্রভাব-
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রক্তে যখনই শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন শরীর থেকে স্বাভাবিক উপায়ে ইনসুলিন নির্গত হয় সেই শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। কিন্তু মধুমেহ রোগীদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ইনসুলিন নির্গত হয় না শরীর থেকে। ইনসুলিন উৎপাদনও হয় না তাঁদের। তাই তাঁদের সর্বক্ষণই নিয়মের মধ্যে থাকতে হয়। কোনও খাবার বা কোনওরকম লাইফস্টাইলের কারণেই যাতে তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে নজর রাখতে হয়। তাঁদের মতে, আনারসে প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব রয়েছে। মিষ্টি ও রসালো ফল হিসেবে এটি বহু মানুষ খেতে পছন্দ করেন। তার মানেই কি আনারস আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে? বিশেষজ্ঞদের মতে, আনারসে থাকা প্রাকৃতিক মিষ্টি মধুমেহ রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়। তাঁরা এই ফল খেতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই কোনও কিছু বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। তাই খুব বেশি পরিমাণে নয়, তবে, এই ফল তাঁরা খেতেই পারেন।
আরও পড়ুন - Monsoon Tips: বর্ষায় আমলকিতেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, জানুন কীভাবে খাবেন
বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন যে, টাটকা আনারস প্রত্যেকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা উপকারী উপাদান স্বাস্থ্যের অনেক উপকার করে। একইরকমভাবে মধুমেহ রোগীরাও এই ফল খেলে তাঁদের ক্ষতি হবে না। এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, সুস্থ থাকতে মধুমেহ রোগীদের অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। টাটকা ফল, সব্জি ইত্যাদি রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসই সুস্থ রাখে আমাদের শরীরকে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।