Hearth Health: বর্তমানে অল্প বয়সী অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) প্রবণতা বেড়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি এমন ঘটনার আমরা সাক্ষী থেকেছি, যা কার্যত হতবাক করে দেয়। কারণ এতদিন আমজনতার মনে ধারণা ছিল বয়স বাড়লেই হার্টের সমস্যা (Heart Problems) বাড়ে। বলা ভাল, হার্টের রোগ দেখা দেয়, অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। তবে হালফিলের ট্রেন্ড কিন্তু একেবারেই সেই কথা বলছে না। বরং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়মিত জীবনযাপন, বেহিসেবি খাওয়াদাওয়া, অতিরিক্ত স্ট্রেস এই হার্ট অ্যাটাকের কারণ। নিজের রোজনামচায় কিছু নিয়ম মেনে চললে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে ফেলা যায় বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন চিকিৎসক। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক, প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কী কী পরিবর্তন আনবেন বা কী কী নিয়ম মেনে চলবেন।


জীবনযাত্রায় শৃঙ্খলা থাকা প্রয়োজন- দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা, রাত জাগা, খাওয়াদাওয়ার সময়ের ঠিক না রাখা এইসবই একটু একটু করে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। তাই নিয়মমাফিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হোন। পর্যাপ্ত ঘুম ভীষণ ভাবে দরকার। সেই সঙ্গে নজর দিন খাওয়াদাওয়ার দিকেও। 


নিয়মিত শরীরচর্চা- প্রতিদিন সামান্য হলেও শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। যোগাসন অভ্যাস করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। নিদেন পক্ষে হাঁটাচলা করুন। তবে নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে শরীরচর্চা করবেন না। অর্থাৎ জিমে গিয়ে অতিরিক্ত ভারী মেশিন বা কষ্টকর শরীরচর্চার একেবারেই প্রয়োজন নেই। আর জিম করলেও সঠিক ট্রেনারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। 


স্বাস্থ্যকর খাবার- তেলমশলা যুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার। সুষম আহার করতে হবে, যাতে শরীরে কোনও উপকরণের ঘাটতি না হয়। প্রতিদিনের মেনুতে অবশ্যই একটা ফল রাখুন। চিনি খাওয়ার ব্যাপারে হ্রাস টানা প্রয়োজন। একসঙ্গে কখনই অনেকটা খাবার খাওয়া ভাল নয়। বারেবারে অল্প করে খাবার খান। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকাও একদম উচিত নয়। 


ধূমপান এবং মদ্যপান- যথেচ্ছ পরিমাণে মদ্যপান কিংবা ধূমপান, দুই-ই স্বাস্থ্যের বিশেষ করে হার্ট বা হৃদযন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এই অভ্যাস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ত্যাগ করুন। নাহলে নিজের অজান্তেই মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলতে পারেন। 


পরিমিত জল পান এবং পর্যাপ্ত ঘুম- সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুম সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। অতএব এই দুই বিষয় অবশ্যই মেনে চলা প্রয়োজন। 


আরও পড়ুন- ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, অথচ মন বলে খাই-খাই? পুজোয় ভুলেও ভাঙবেন না এই নিয়ম