কলকাতা : বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষাকালে জীবানুর সমস্যা বেশি দেখা দেয়। অসুখ-বিসুখের প্রকোপ থেকে শুরু করে খাবার, সবেতেই জীবানুর হানা বেশি হয় এই সময়ে। তাই বর্ষাকালে যদি সঠিকভাবে খাবার জীবানুমুক্ত না করা হয়, তাহলেই পেটের গোলমাল থেকে ডায়ারিয়া এবং আরও অন্যান্য অসুখের প্রকোপ বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে শরীর-স্বাস্থ্যের পাশাপাশি রান্না করার সময় এবং রান্না করা খাবার কিংবা ফল বা সবজি, সবই জীবানুমুক্ত রাখা দরকার। তবেই বর্ষাকালে জলবাহিত রোগের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব। কীভাবে খাবার জীবানুমুক্ত রাখবেন, তার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাজার থেকে যে ফল বা সবজি কিনে আনছেন, তা বাড়িতে নিয়ে আসার পর ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে নেওয়া দরকার। যে সমস্ত প্যাকেটজাত খাবার কিনে আনছেন, তাও ভালো করে ধুয়ে নিন।


২. জীবানুমুক্ত করার জন্য রান্না করার সময় খাবার বেশিক্ষণ ধরে রান্না করুন। অল্প পরিমাণে রান্না করুন। যেন খাবার দীর্ঘক্ষণ পড়ে না থাকে। 


৩. বাজার থেকে কেনা শাক-সবজি ধোয়ার সময়ে জলে নুন মিশিয়ে নিন। এবার সেই নুন জল দিয়ে ধুয়ে নিন।


৪. অতিরিক্ত পরিমাণে রান্না করে তা জমিয়ে রাখবেন না। প্রয়োজন মতো রান্না করুন, আর তা খেয়েও নিন। ফ্রিজে যদি রান্না করা খাবার রাখতেও হয়, তাহলে তা অবশ্যই ঢাকা দেওয়া পাত্রে রাখবেন।


৫. বর্ষাকালে ফ্রিজেও জীবানু থাকতে পারে। জীবানুমুক্ত রাখতে ফ্রিজ সবসময় পরিস্কার রাখুন। 


৬. ফ্রিজে রান্না করা খাবার এবং কাঁচা ফল বা সবজি একসঙ্গে কখনওই রাখবেন না। রান্না করা খাবার যেমন ঢাকা দেওয়া পাত্রে রাখছেন, তেমনই ফল বা সব্জিও পাতলা কাপড়ের ব্যাগে আলাদা করে রাখুন। 


৭. এই সময়ে অনেক ক্ষতিকর ভাইরাস এবং জীবানুর প্রকোপ বাড়ে। আর আবহাওয়ায় সেই সমস্ত জীবানু থাকার জন্য খাবারের মাধ্যমে তা আমাদের শরীরে চলে যায়। তাই খাবারকে জীবানুমুক্ত রাখা সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয়। 


৮. বর্ষাকালে বিশেষ করে গরম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ থেকে পুষ্টিবিদরা। প্রয়োজনে জলও ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খান। তাতে পেটের গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।