কলকাতা: শরীরের কথা মন জানছে কী করে আর মনের কথাই বা শরীর টের পায় কীভাবে ? এআ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রহস্য ঘনিয়ে রয়েছে। এর মীমাংসার জন্য সদা তৎপর বিজ্ঞানীরা। এবার তার উত্তর পাওয়া গেল সম্পূর্ণ অন‌্য এক আঙ্গিকে। সম্প্রতি খোঁজ মিলেছে ছয়টি বিশেষ প্রকৃতির জিনের। এই জিনগুলি প্রাণীদের শরীরের দীর্ঘদিন ধরেই উপস্থিত। দীর্ঘদিন বলতে একেবারে আদিকাল থেকেই। আর এরাই নিয়ন্ত্রণ করে প্রাণীদের আবেগ, ভাল থাকা মন্দ থাকা। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীদের দাবি, এরাই বলে দিচ্ছে, একজনের ব্যক্তিত্ব কেমন ধাঁচের হতে চলেছে।


এককোষী প্রাণীদের আমল থেকেই 


এই ছয়টি জিন হাল আমলে মানুষের শরীরে তৈরি হয়েছে, তা নয়। এমনকি মানুষের আদিকাল থেকে ছিল তাও নয়। বরং মানুষের বহু বহু আগে জন্ম নেওয়া এককোষী প্রাণীদের শরীরেও ছিল। লক্ষ কোটি বছরে পৃথিবীর অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে, ডাইনোসরের মতো বিশাল দানবাকার জীব এসেছে ও গিয়েছে। কিন্তু এই ছয়টি জিন নাকি যেমন ছিল তেমনটাই রয়েছে। কোনও বদল হয়নি চেহারায়, কোনও বদল হয়নি কাজেও !


শরীর-মনের কথাবার্তা


শরীর ও মনের মধ্যে কথাবার্তা কী করে চলে, তা নিয়ে বহু দিন ধরে গবেষণা চলছে। হরমোন ও স্নায়ুর বড় ভূমিকা থাকলেও তারা কীভাবে কাজ করছে, তা নিয়েই বিজ্ঞানীদের কৌতুহল। এবার সেই কোতুহল কিছুটা হলেও মেটাতে পেরেছে এই ছয়টি জিন। গবেষকদের দাবি, এই ছয়টি জিনই মানুষের মনের নানা দিকের হদিশ রাখে। সেই হদিশ অনুযায়ী, তার ব্যক্তিত্ব ও আচার আচরণ গড়ে দেয়।


জিন ফুটে ওঠে আচার আচরণে


গবেষকদের কথায়, জিন খালি চোখে দেখার জিনিস নয়। দেখা যায়ও না। কিন্তু শরীরের মধ্যে থাকা জিনগুলি তাদের অস্তিত্ব জানান দেয় আচার আচরণ ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যর মাধ্যমে। গবেষকদের কথায়, এক্ষেত্রেও এই ছয়টি জিন লক্ষ কোটি বছর ধরে সেই ভূমিকা পালন করে আসছে।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে


স্পেনের গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ফিনল্যান্ডের ৪৫৯ জন প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে এই গবেষণা করেন‌। ৪ দশক ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। যার ফলাফল এখন চমকে দিয়েছে তাবৎ বিশ্বকেই।


আরও পড়ুন - Health Tips: ব্লাড সুগারে পায়ের খেয়াল রাখবেন কেন ? কীভাবেই বা রাখবেন ?