Skin Care Tips: তরমুজের (Watermelon) মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ। শুধু যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তা কিন্তু নয়। বরং তরমুজ দিয়ে খুব ভাল ভাবে ত্বকের পরিচর্যাও করা সম্ভব। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ত্বকের যত্নে তরমুজ কীভাবে কাজে লাগে। 


ত্বকের যত্নে কীভাবে কাজে লাগে তরমুজ



  • গরমের মরসুমে ত্বক হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে তরমুজের রস খেলে যেমন শরীর হাইড্রেটেড থাকে, তেমনই ত্বকও হাইড্রেটেড থাকে। অর্থাৎ ত্বকের রুক্ষ শুষ্ক ভাব দূর করে এই ফল। তরমুজের নির্যাস দিয়ে তাই ফেস স্ক্রাবিং করতে পারেন।

  • তরমুজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি। এছাড়াও রয়েছে lycopene। এই সমস্ত উপকরণ ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি রুখতে সাহায্য করে। কালচে দাগছোপ দূর করে। জেল্লা ফেরায় ত্বকের।

  • ত্বকের উপর ডেড স্কিন সেল জমে গেলে ত্বক দেখতে যেমন বাজে লাগে তেমনই রুক্ষ, শুষ্ক, খসখসে ভাব বোঝা যায়। এই সমস্যা দূর করে তরমুজ।

  • অর্থাৎ ন্যাচারাল এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে তরমুজ। এই ফলে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড যা ডেড স্কিন সেল ঝরাতে সাহায্য করে। ফলে স্কিন এক্সফোলিয়েট হয়।

  • যাঁদের স্কিন খুব অয়েলি এবং সেনসিটিভ স্কিন তাঁদের ক্ষেত্রে প্রায় সারাবছরই ব্রনর সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যা দূর করতে বা কমাতেও কাজে লাগে তরমুজ।

  • ব্রনর সমস্যা কমাতে তরমুজের বীজ কাজে লাগে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। এই মিনারেলস হরমোনের ব্যালান্স ঠিক রাখে এবং ব্রনর সমস্যা কমায়।

  • তরমুজের মধ্যে থাকা ম্যালিক অ্যাসিড আসলে একটি হিউমিকট্যান্ট যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে অর্থাৎ হাইড্রেশনের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

  • ত্বকে বলিরেখার সমস্যা দেখা দিলে তা দূর করতেও কাজে লাগে তরমুজ। কীভাবে সেটাই জেনে নেওয়া যাক।

  • অ্যান্টি এজিং বা বলিরেখার সমস্যা রুখে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপরকরণ রয়েছে তরমুজের মধ্যে। এর দলে তরমুজ সহজেই অ্যান্টি এজিংয়ের সমস্যা দূর করতে পারে।


তরমুজ কিডনিরও অনেক সমস্যা কমায়। এটি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। যারা কোষ্ঠ কাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন, তারাও তরমুজ খেতে পারেন। তরমুজ খেলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলকে দূরে রাখা যায়, যা হার্ট সংক্রান্ত রোগগুলোকে প্রতিরোধ করতে পারে। তরমুজে থাকা সিট্রোলিন হার্টের জন্য খুবই ভাল। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে, যা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তরমুজে থাকা লাইকোপেন ক্যান্সারের প্রবণতা অনেকটা কমাতে সাহায্য করে। এই লাইকোপেনের জন্যই তরমুজের রং গাঢ় লাল হয় এবং এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ক্যানসার রোধ করে। তরমুজ ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, যা অ্যান্টিবডি গঠন করতে সাহায্য করে। তরমুজে থাকা উপাদান লাইকোপেন চোখের উপকার করে। লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহবিরোধী হিসেবে ভূমিকা রাখায় এটি বয়সজনিত দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। তরমুজে থাকা ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘সি’ ত্বক সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। 


আরও পড়ুন- মুখ পরিষ্কার করার সময় কী করবেন কী করবেন না, একনজরে দেখে নিন