কলকাতা: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম (Sleep) খুবই জরুরি। তবেই সঠিকভাবে সুস্থ থাকে শরীর। এমনটাই জানান বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অত্যাধিক কাজের চাপ থেকে আরও নানা কারণে ঘুমের নানা সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকেরা প্রতিদিন অন্ত ৮ ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দেন। তাঁদের মতে, একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস যেমন জরুরি, তেমনই প্রয়োজন সঠিক ঘুমও। নাহলে শরীরে নানা অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। কিছুদিন আগেই একটি তথ্য প্রকাশ করেছিলেন গবেষকরা। তাঁরা জানাচ্ছিলেন যে, কম ঘুমের কারণে আমাদের হৃদপিণ্ডে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এর ফলে একাধিক হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি বাড়ে। কম ঘুমের কারণে বহু মানুষ হার্ট অ্যাটাক থেকে স্ট্রোক এবং আরও নানা অসুখের শিকার হয়েছেন। তবে, সম্প্রতি যে তথ্য প্রকাশ করেছেন গবেষকরা, তাতে তাঁরা জানাচ্ছেন যে, শুধুমাত্র হৃদরোগেরই ঝুঁকি বাড়ে না কম ঘুমের কারণে। তার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশ কিছু মারাত্মক অসুখের ঝুঁকিও বাড়ায়। আর এই অসুখ হল মধুমেহ (Diabetes)। বিশেষজ্ঞদের মতে, যা শরীরে একবার বাসা বাঁধলে চিরস্থায়ী হয়ে যায়। 


কম ঘুমের ফলে ঝুঁকি বাড়ছে মধুমেহ রোগের-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কম ঘুমের ফলে তার ক্ষতিকর প্রভাব যেমন আমাদের শরীরে পড়ে, তেমনই পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যেও। একাগ্রতার অভাব, মেজাজ পরিবর্তন, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া এবং আরও নানা সমস্যা দেখা দেয় এর ফলে। এগুলির সঙ্গেই নিয়মিত কম ঘুমের অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বহু মানুষেরই ধারণা নেই যে, শুধুমাত্র মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলেই মধুমেহ দেখা দেয় না। লাইফস্টাইলের নানা পরিবর্তন এবং আরও এমন অনেক কারণ রয়েছে মধুমেহ হওয়ার, যা ধারণা নেই অনেকেরই। অনিদ্রার সমস্যা বাড়িয়ে দেয় মধুমেহর সমস্যাগুলিকে।


আরও পড়ুন - Makhana: ওজন কমানো থেকে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, দারুণ উপকারী মাখনা


গবেষকদের মতে, শরীর সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ২৪ ঘণ্টায় ৬ ঘণ্টা ঘুম একেবারেই সঠিক নয়। এর ফলে স্লিপ অ্যাপনিয়া, রেস্টলেস লেগ সিনড্রোমের মতো রোগ দেখা দেয়। তার সঙ্গে রক্তে গ্রুকোজের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম খুবই দরকারি। সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেই রাতে অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবেই সুস্থ থাকে শরীর। নাহলে কোনও শরীরচর্চাই শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবে না। 


কীভাবে ঘুমের সমস্যা দূর করবেন?


১. ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন। সেই নির্দিষ্ট সময় মেনেই ঘুমোন।


২. ঘুমের সময় আশেপাশের পরিবেশ যেন মনোরম হয়, সেদিকে নজর রাখুন। 


৩. সারাদিনে অত্যধিক মাত্রায় চা কফি পান করা চলবে না।


৪. স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করতে হবে।


৫. ল্যাপটপ, কম্পিউটার, স্মার্টফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখার সময় কমানো দরকার।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।