কলকাতা: পরিচিত শাকগুলির নামের তালিকা বানাতে হলে, প্রথম দিকেই আসবে এর নাম। ঘন সবুজ পাতার পালং শাক দিয়ে বানানো যায় রকমারি সুস্বাদু পদ। স্বাদ তো রয়েছেই তার সঙ্গেই এই সব্জিতে রয়েছে নিনা ধরনের প্রয়োজনীয় পোষক পদার্থ। যা দেহের পুষ্টির চাহিদা সহজেই মেটাতে পারে। প্রায় প্রতিদিনই খাবারের পাতে পালং রাখলে মিলবে নানা সুফল। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী।
নানা ভিটামিনের উৎস
পালং শাক ভিটামিনে ভরপুর। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বা ফলেট (folate) যেমন থাকে তার সঙ্গেই পাওয়ায় যায় ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে (vitamin k)। চোখ, ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর জুড়ি নেই। প্রতিদিন পালং শাকের কোনও না কোনও পদ খেলে শরীরে ভিটামিনের যাবতীয় চাহিদা মিটবে।
রক্তাল্পতা কমায়
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে লৌহখনিজ (iron) থাকে। যা রক্তের হিমোগ্লোবিন মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য় করে। যার ফলে রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে উপকার করবে পালং শাক।
লাগামে থাকে শর্করার মাত্রা
পালং শাকে ফাইবার ( fiber) ও ম্য়াগনেশিয়াম (magnesium) থাকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ফাইবারের কারণে পাচনতন্ত্র ঠিক থাকায় হজমের জন্যও ভাল।
দূরে রাখে হাড়ের ক্ষয়
হাড় ভাল রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম। পালংশাকে রয়েছে সেটাও। ফলে ডায়েটে নিয়মিত পালংশাক থাকলে হাড়ের ক্ষয় রোধে কার্যকারী ভূমিকা নেয়। অস্টিওপোরোসিসের (osteoporosis) মতো রোগ দূরে থাকে। নিয়মিত পালং শাক খেলে মাংসপেশির স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
তবে যত উপকারীই হোক না কেন, অতিরিক্ত খাওয়া কখনই ভাল না। পালং শাক অতিরিক্ত খেলে রক্তে অক্স্যালিক অ্যাসিড (oxalic acid) বাড়তে পারে যা কিডনির সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। শরীরে জিঙ্ক শোষণেও (absorption) বাধা দেয়।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: মাটির নীচে বিপদে 'প্রাণ', চাই না নির্জলা পৃথিবী, বাঁচাতে হবে আমাদেরই