কলকাতা: গত প্রায় আড়াই বছর ধরে সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস (Coronavirus)। এই মারণ রোগের কারণে গত আড়াই বছরে নানা সময়ে বিশ্ব থমকে গিয়েছে। লকডাউন নামের একটি ব্যবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হয়েছে জনজীবনকে। জনজীবন কার্যত থমকে দিয়েছিল এই ভাইরাস। এখনও সম্পূর্ণভাবে বিশ্ব থেকে চলে যায়নি করোনাভাইরাস। তবে, বর্তমানে ভ্যাকসিনের কারণে কিছুটা ,সংক্রমণ কমেছে কোভিড১৯-এর (Covid19)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাসের পর ব্যাপক হারে বেড়েছে লং কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা। লং কোভিডের উপসর্গগুলি স্থায়ী হয় প্রায় ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত। সারা বিশ্বে ব্যাপক হারে বেড়েছে এর সংক্রমণ। লং কোভিডে (Long Covid) আক্রান্তদের শরীরে উপসর্গ থাকলে বেশ কিছু খাবার একেবারেই না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


লং কোভিডের লক্ষণ-


১. লং কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গগুলি থাকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত। সাধারণত করোনাভাইরাসের সমস্ত লক্ষণই থাকে এই অসুখে।


২. চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায় লং কোভিডে আক্রান্ত হলে।


৩. দুর্বলভাব, শরীরে একেবারেই জোর না পাওয়া, সারাক্ষণ ক্লান্তি অনুভব করার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।


৪. মাথার যন্ত্রণা, মাথার মাঝখানে যন্ত্রণা হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।


৫. সামান্য একটু কাজ করার পরই দুর্বলভাব অনুভব করা, আচমকা হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা অনুভব করার মতো লক্ষণ দেখা যায়।


আরও পড়ুন - Health tips: নাগাড়ে হেঁচকি উঠছে? বন্ধ করবেন কীভাবে?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লং কোভিডের সমস্যাগুলিকে আমরা কিছুটা প্রতিরোধ করতে পারি আমাদের লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসলে। এই সময়ে অ্যালার্জিরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাঁচি হতে পারে একটানা। তাঁদের মতে, এই সময়ে খাওয়ায় অরুচি দেখা দেয়। কোনও খাবারই মুখে ভালো লাগে না। বিশেষ করে ফল, সব্জি কিংবা প্রয়োজনীয় কোনও খাবারই খেতে ইচ্ছে করে না। তার পরিবর্তে জাঙ্ক ফুড, মশলাদার খাবার, প্যাকেটজাত খাবার খেতে ইচ্ছে করে। 


লং কোভিডে কোন কোন খাবার এড়িয়ে যাওয়া দরকার?


বিশেষজ্ঞদের মতে, লং কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই দই, বিয়ার, অ্যালকোহল, মাংস, পুরনো চিজ, ভাজা মাছ, প্যাকেটজাত খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ আগে তৈরি কোনও খাবার এই সময়ে খাওয়া উচিত নয়।


বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, এই সময়ে খাবারের তালিকায় নজর দেওয়া বিশেষভাবে প্রয়োজন। প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে টাটকা ফল, সব্জি, কমলালেবু, নাসপাতি, স্ট্রবেরি, ব্রকোলি, ভিটামিন সি জাতীয় ফল। প্রতিদিন টাটকা মাছ, সব্জি এবং ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।