কলকাতা: ত্বকের পরীক্ষাই (Skin Test) এবার জানান দেবে মাথার রোগের ঝুঁকি। সম্প্রতি এমনই একটি পরীক্ষার খোঁজ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সিন ওয়ান টেস্ট নামের ওই পরীক্ষা চিকিৎসকের চেম্বারে বসেই করে ফেলা যায়‌। আর তা করে নিলে জানা যায় ব্যক্তির পার্কিনসনস রোগ আছে কি না। ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই টেস্টের সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়। যার ফলে রোগের শনাক্তকরণে ভুলভ্রান্তির আশঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব।


ত্বকের কেমন পরীক্ষা ?


পরীক্ষাটির নাম সিন ওয়ান টেস্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই গবেষণায় আবিষ্কৃত টেস্টটি সহজেই চিকিৎসকের চেম্বারে করা যায়।‌ গবেষকদের কথায়, পার্কিনসন রোগ অধিকাংশ সময়েই ঠিকভাবে ধরা পড়ে না। চিকিৎসকদের কথায়, রোগটির পরীক্ষা নিরীক্ষার সময় সঠিকভাবে এটিকে শনাক্ত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এবার সেই পরীক্ষা সহজ হবে। 


কী বলছে পরিসংখ্যান ?


পার্কিনসনস রোগের পরিসংখ্যান চিকিৎসকদের কাছে বড় চিন্তার কারণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ১,৮০,০০০ ব্যক্তি এই রোগের শিকার হন। এর বাইরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেকেই রোগটির শিকার। আপাতত পার্কিনসনস রোগের কোনও ওষুধ নেই। তবে রোগটিকে ঠিকমতো শনাক্ত করা গেলে উপসর্গগুলির চিকিৎসা করা হয়। 


ধরা পড়বে আরও বেশ কিছু রোগ


পার্কিনসনস একটি স্নায়ুঘটিত রোগ। একে নিউরোডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার (Neurodegenerative Disease) বলা হয়। তবে এটি ছাড়াও বেশ কিছু স্নায়ু ঘটিত রোগ রয়েছে। রয়েছে মস্তিষ্কের সমস্যাও। এবার সেগুলিও ধরা পড়বে একই পরীক্ষায়। এই ধরনের রোগের মধ্যে রয়েছে লিউয়ি বডি ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ, মাল্টিপল সিস্টেম অ্যাট্রফি, পিওর অটোনমি ফেলিওর। মোট ৪২৭ জনকে নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়। তার ভিত্তিতেই দেখা যায় পরীক্ষাটির সাফল্য। 


কী বলছেন গবেষকরা ?


বেথ ইজরায়েল ডেকোনেস মেডিকেল সেন্টার এর চিকিৎসক ক্রিসটোফার গিবনস সংবাদমাধ্যমকে বলেন,‌ পার্কিনসনস রোগ প্রায়ই ঠিক সময়ে ধরা পড়ে না। রোগটিকে ঠিকমতো শনাক্ত করা যায় না বলেই এমনটা হয়। ঠিকভাবে শনাক্ত করা গেলে দ্রুত চিকিৎসাও আরম্ভ করা সম্ভব। ডিমেনশিয়া ও অন্যান্য ব্রেন ডিজিজের ক্ষেত্রেও একই মত চিকিৎসকের। সাধারণত চিকিৎসকরা একটি রোগের সঙ্গে অন্যটিকে গুলিয়ে ফেলেন। এতেই বিপদ বাড়ে। এবার সেই বিপদ কমবে বলেই আশা।


আরও পড়ুন - Health News: টানা ১০ বছর পোলিওমুক্ত ভারত ! এই বিরাট সাফল্যের কী রহস্য ?