কলকাতা: দেখতে দেখতে কেটে গেল এক দশক। গত ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ গোটা দেশ পোলিও মুক্ত হিসেবে অ্যাখ্যা পায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল ভারতকে। গত দশকের ২০১১ সালে শেষবারের মতো পোলিও আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল দেশে। পোলিও আক্রান্ত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার এক ব্যক্তি। এর পর টানা ৩ বছর পোলিওর কোনও ঘটনা সারা দেশে ধরা পড়েনি। ২০১৪ সালে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পোলিও মুক্ত হিসেবে অ্যাখ্যা পায় ভারত। ২০২৪ সালে সেই স্বীকৃতির দশ বছর পূর্ণ হল।


দেশ পোলিও মুক্ত হল কোন পদ্ধতিতে ?


রোটারি ইন্টারন্যাশনালের ইন্ডিয়া পোলিও প্লাস কমিটির চেয়ারম্যান দীপক কাপুর সংবাদমাধ্যম আইএনএএস-কে বলেন, পোলিও মুক্ত অবস্থায় ভারত টানা দশ বছর কাটিয়ে ফেলেছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন।‌ কীভাবে এই স্বীকৃতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে সে কথা জানালেন দীপক। তাঁর কথায়, দুই পদ্ধতিতে এই স্বীকৃতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। প্রথম পদ্ধতিতে চেষ্টা করা হয়েছে পাঁচ বছরের কমবয়সি প্রায় সব শিশুদের যেন সঠিক সময় পোলিও টিকাকরণ করানো হয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় পদ্ধতিতে চেষ্টা করা হয়েছে নিয়মিত নজরদারি চালিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ কোথাও পোলিও হয়েছে কিনা তার খোঁজখবর রাখা এবং পোলিও টিকাকরণ ঠিকমতো হচ্ছে কি না সে দিকটাও দেখভাল করা। ন্যাশনাল পোলিও সার্ভেলেন্স প্রজেক্ট এর অধীনে এই নজরদারি গোটা প্রক্রিয়াটি চলে বলে সংবাদমাধ্যমকে এই দিন জানালেন দীপক কাপুর।


টিকাকর্মীদের অক্লান্ত শ্রম


অন্যদিকে ইউনিসেফ ইন্ডিয়ার ইমিউনাইজেশন স্পেশালিস্ট চিকিৎসক আশিষ চৌহান সংবাদমাধ্যম আইএএনএসকে জানান, ভারতের কাছে একটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন। দেশে যে সময় পোলিও দূরীকরণের চেষ্টা শুরু হয়েছিল, তখন অনেক রকম আশঙ্কায় প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই সব আশঙ্কাকে মিথ্যে প্রমাণ করে ভারত টানা ১০ বছর পোলিও মুক্ত থাকার খেতাব অর্জন করেছে। পাশাপাশি তাঁর কথায়, ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন ডে ও সাব ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন ডে-গুলিও এই প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। চিকিৎসকের কথায়,ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন ডেতে টিকাকরণের মাধ্যমে দু-তিন দিনের মধ্যে এক কোটিরও বেশি শিশুদের টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে। সারা দেশ জুড়ে ৭ লাখ বুথে টিকাকরণের প্রকল্প চলে। সব মিলিয়ে ২৫ লাখ টিকা কর্মীরা টিকা কর্মীদের অক্লান্ত চেষ্টায় আজ এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। 


আরও পড়ুন - Feet Pain: পায়ের পাতায় ব্যথা কেন, কীসের লক্ষণ, কীভাবে সুরাহা ?