কলকাতা: গরম পড়লে তো আর অফিস কামাই করা যায় না। এমনকি বাইরে কোনও কাজ থাকলে তাও সারতে হয়। আবার স্কুল-কলেজও চলে তাদের মতো। কিন্তু কাজকর্মের মাঝখানেও  শরীর ভাল রাখা জরুরি‌। গরমকালে তাই বাড়ি ফিরেই করুন এই কাজগুলি। এতে শরীর খারাপ লাগবে না। বরং শরীরের পাশাপাশি মন মেজাজও চাঙ্গা হয়ে যাবে। শরীর খারাপ এড়াতে রোজকার রুটিনে এই কাজগুলি রাখুন। 


গরমে বাড়ি ফিরেই যা করবেন


প্রথমেই মুখ হাত ধুয়ে নিন - সারা রাস্তার ধুলো মুখ হাতে লেগে থাকে। তাই প্রথমেই মুখ হাত পরিস্কার করে ফেলুন।


বাইরের পোশাক ছেড়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম - বাইরের পোশাক ছেড়ে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিন। বাইরের পোশাক ঘাম শুষে নেয়‌। সেই ঘাম গায়ে না শুকোনোই ভাল। 


কিছুক্ষণ পর ফ্যান - কিছুটা সময় গেলে ফ্যান চালাতে পারেন। তার আগে ফ্যানের নিচে বসা ঠিক নয়, যতই গরম লাগুক। লক্ষ রাখুন, হাঁটাহাঁটির কারণে আপনার হাঁপানি কমল কিনা। তার পর ফ্যান চালান। 


স্নান করে নিন বা গা মুছে নিন - কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর স্নান করে নিতে হবে। এতে ধুলো ময়লা ঘাম সাফ হয়ে যাবে।  স্নান করার ইচ্ছে না হলে গা মুছে নিতে পারেন।


হালকা খাবার - বাড়ি ফেরা মানেই ভারি খাবার খাওয়ার লাইসেন্স নয়। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই হালকা খাবার দিয়েই শুরু করুন। 


জল বা জলীয় খাবার - বাইরে খাটাখাটনি করে ফিরেছেন‌। রোদ ও গরমের জেরে ঘাম হয়েছে প্রচুর। এর ফলে শরীরে জলের পরিমাণও কমে যাওয়া স্বাভাবিক। সেই সমস্যা মেটাতে জল খান। অথবা জলীয় খাবার যেমন ফল খেতে পারেন। 


বাইরে থেকেই ফিরে কী কী করবেন না ?


রোদ থেকে বাড়ি ফিরেই কিছু নির্দিষ্ট কাজ করা উচিত নয়। এতে শরীর ভাল থাকার বদলে আরও খারাপ হয়ে যায়।  তাই এই কাজগুলি এড়িয়ে চলুন।



  • রোদ থেকে বাড়ি ফিরেই জল খাবেন না। ঠান্ডা জল তো একেবারেই নয়। এতে হার্টের উপর চাপ পড়ে।

  • শরীর খারাপ এড়াতে রোদ থেকে ফিরেই ফ্যানের হাওয়া নয়। যতই ইচ্ছে করুক, তবুও এটি এড়াতে হবে। নয়তো শরীরের সমস্যা বাড়বে।

  • খাবার খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।‌ খাবার খেলে শরীর হজম করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে না তখনই। ফলে সমস্যা হতে পারে। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - Health Tips: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন জরুরি ? কতদিন অন্তর ?