কলকাতা: ডায়াবেটিস (diabetics) থাকলে চিন্তা তো থাকেই। রক্তে শর্করার মাত্রা লাগামহীন থাকলে সহজেই বিভিন্ন রোগ কোপ বসায়। সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অন্যদিকে চিন্তা থাকে খাওয়া নিয়েও। ডায়েটের সামান্য পরিবর্তনে হেরফের হয়ে যায় শর্করার (Blood Sugar Spike) মাত্রায়। ডায়াবেটিস থাকলে একাধিক খাবার চলে যায় বাদের তালিকায়। সমস্য়া হয় ফল নিয়েও। প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের উৎস হলেও ডায়াবেটিস থাকলে সমস্যার পড়তে হয় ফল বাছাই করা নিয়েও।


কিছু কিছু ফল রয়েছে যা ডায়াবেটিসের রোগীরা খেতে পারেন। শুরু থেকেই খেয়াল রাখলে টাইপ টু ডায়াবেটিস লাগামে রাখা সম্ভব। আর সেই কাজে সাহায্য করতে পারে কিছু কিছু ফল।


ড্রাগন ফ্রুট:
বিদেশি এই ফল এখন ভারতেও চাষ হচ্ছে। খাদ্যগুণে ভরপুর এটি। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অত্যন্ত ভাল উৎস ড্রাগন ফ্রুট। GI স্কোর অত্যন্ত কম। অর্থাৎ এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায় না। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল এই ফল। ক্যালোরির মাত্রাও কম থাকে এতে।


পেঁপে:
পেঁপেতে (Papaya) উচ্চ মাত্রায় ফাইবার থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে লাগামে রাখতে সাহায্য় করে। এর GI-এর মাত্রা মধ্যম। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পেঁপে খাওয়া যায়। পাচনতন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে এই ফল। ভরপুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে পেঁপেতে যা আদতে শরীরে প্রদাহ কমাতে পারে।,


জাম বা বেরিজাতীয় ফল:
ডায়াবেটিস যাঁদের রয়েছে তাঁরা কালো জাম খেতে পারেন। বলা হয়ে থাকে জামের বীজ ও শাঁস দুটোই ডায়াবেটিস সারাতে উপকারী। জামের (Jamun) বীজ গুঁড়ো করে ব্যবহারের চল রয়েছে আয়ুর্বেদে। জামের GI-স্কোরও কম।  


কিউয়ি:
অল্প শর্করা রয়েছে এই ফলে। ডায়াবেটিস রুগীদের ডায়েটে জায়গা পেতেই পারে এই ফল। ফাইবার রয়েছে এতে, ফাইবার ডায়াবেটিস লাগামে রাখতে সাহায্য করে। কিউই (Kiwi) খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি পায় না।


শসা:
শরীরে জলের চাহিদা মেটাতে শশা খুবই উপকারী। একটি শশায় (cucumber) প্রায় ৯৫ শতাংশ জল থাকে। হজম করাতে সাহায্য় করে শসা। ডায়াবেটিস থাকলে এই ফল আদর্শ।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: ঘনঘন পেটের সমস্যায় ভুগছেন? এই সাধারণ কয়েকটি দিক মাথায় রাখলেই সমাধান হবে