কলকাতা: আলু তো ঘন ঘন খাওয়া হয়। কিন্তু সেই তুলনায় কম খাওয়া হয় মিষ্টি আলু। সারা বছরই পাওয়া যায় এই বিশেষ সবজি। তবে শীতকালে একটু বেশি। দেখতে আলুর মতো হলেও রঙে ও স্বাদে আলাদা। এমনকি আলুর চেয়ে ঢের বেশি উপকারী মিষ্টি আলু। শীতকালে বেশ কয়েকটি কারণে মিষ্টি আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। সেগুলিই এবার একে একে জেনে নেওয়া যাক। 


কী কী পুষ্টি উপাদান রয়েছে মিষ্টি আলুতে (Sweet potato nutrition) ?



  • একাধিক ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু। 

  • মিষ্টি আলুর ভিটামিনের তালিকায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও ভিটামিন বি৬।

  • অন্যদিকে পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ পদার্থও রয়েছে মিষ্টি আলুতে। পাশাপাশি এতে রয়েছে আয়রন, সোডিয়াম ও ক্যালসিয়াম।

  • মিষ্টি আলু ফাইবারের গুণে সমৃদ্ধ।

  • মিষ্টি আলুতে মূলত কার্বোহাইড্রেট আর প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। এতে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই নগণ্য। 


মিষ্টি আলু খাবেন কেন (Sweet Potato Benefits) ?



  • হজমের জন্য উপকারী: খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে মিষ্টি আলু। এর মধ্যে ডায়েটারি ফাইবারের পরিমাণ বেশি। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ফাইবার পেটের ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়‌। এর ফলে হজমের সমস্যা কম হয়।

  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: ফাইবারের পরিমাণ বেশি বলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতেও উপকারী। এটি পেট সাফ করার জন্য নিয়মিত খেতে পারেন। 

  • প্রদাহ কমায়: অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে মিষ্টি আলুর মধ্যে। এটি প্রদাহ নাশ করতে সাহায্য করে। আর্থ্রাইটিস ও জয়েন্টের ব্যথায় ঘন ঘন প্রদাহ হতে থাকে‌। 

  • চোখ ভাল রাখে: এর মধ্যে ভিটামিন এ-এর পরিমাণ অনেকটাই। এটি একদিকে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। অন্যদিকে রাতকানা রোগের ঝুঁকি কমায়‌। এছাড়াও বয়স হলে চোখে ছানির আশঙ্কা বাড়তে থাকে। ডায়াবিটিস উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের কারণে চোখের বেশ কিছু রোগ হতে পারে। সেই রোগগুলির আশঙ্কা কমায় ভিটামিন এ। 

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ভিটামিন এ ও সি-তে সমৃদ্ধ এই মিষ্টি আলু। এই দুই উপাদান বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। পাশাপাশি এই ভিটামিন দুটি শরীরে রোগ প্রতিরোধকারী কোশ তৈরি করে। 

  • অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করে: শরীরে ফ্রি র‌্যাডিকাল তৈরি হলে প্রচুর পরিমাণে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়‌। এই স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে মিষ্টি আলুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়‌‌।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Weight Loss: ওজন কমাতে আমিষ না নিরামিষ ? কোনটা বেশি ভাল বলুন তো