Tandoori Dishes: তন্দুরি ফিশ বা চিকেন অনেকেরই প্রিয় আইটেম। রেঁস্তরায় খেতে গেলে অনেকেই এটি কিনে খান। আবার বর্তমানে নয়া প্রজন্মের অনেকেই স্ট্রিট ফুডের স্টল দেন। সেই সব দোকানেও দেদার বিক্রি হয় তন্দুরির বিভিন্ন ডিশ। অন্যদিকে আধুনিক স্টাইলের ক্যাফেতে এখন চা-কফির সঙ্গে এই বিশেষ আইটেমটি সার্ভ করা হয়। চিকেনের বিভিন্ন পদের মধ্যে তন্দুরি চিকেনের জনপ্রিয়তা নেহাত কম নয়। তবে এই বিশেষ আইটেমটি খেতে হলে কিছু বিষয় জেনে রাখা দরকার। তাতে আখেরে স্বাস্থ্যের উপকার।
তন্দুরি যেকোনও ডিশ খাওয়ার আগে যা মনে রাখা জরুরি
১. হার্টের সমস্যা - তন্দুরুি বানানোর জন্য যেটি প্রধান উপকরণ হিসেবে লাগে সেটি হল তেল, ঘি বা ডালডা। এই তিনটির যেকোনও একটি উপাদান পর্যাপ্তে পরিমাণে তন্দুরে লাগিয়ে তবেই সেটি পোড়াতে হয়। আর সেজন্যই হার্টের জন্য এটি চরম বিপদের। কারণ এগুলির মধ্যে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে। যা হার্ট ব্লকেজের কারণ হতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশের কথায়, কমবয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের বড় কারণ এই ধরনের খাবারের প্রতি টান।
২. ক্রনিক রোগের ঝুঁকি - ক্রনিক রোগ বলতে বোঝানো হয় যে রোগগুলি সারে না বা অনেকটা সময় লাগে সারতে। আর এমন রোগের তালিকায় রয়েছে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস। এই রোগগুলির কারণ হতে পারে তন্দুরিজাতীয় খাবারে থাকা বিপুল পরিমাণ ফ্যাট।
৩. জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা - দোকানে একসঙ্গে অনেকগুলি তন্দুরি বানানো হয়। এর ফলে অনেক সময় কিছু মাংস পুরো সিদ্ধ নাও হতে পারে। মাংস যদি অল্পও কাঁচা থেকে যায় তাহলে তার থেকে পেটে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এর ফলে ডায়রিয়া, পেট খারাপ ও গুরুতর ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বার্ড ফ্লু-র সময় এই ধরনের খাবার বিশেষভাবে এড়িয়ে চলা জরুরি।
৪. ক্যানসারের ঝুঁকি - একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাবার পোড়ানো হলে তার মধ্যে কারসিনোজেনিক উপাদান তৈরি হয়। যা আদতে ক্যানসারের বিষ। তাই তন্দুরিজাতীয় খাবার যতটা এড়িয়ে চলা যায়, ততই ভাল।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Chia Seeds: কারা এড়িয়ে চলবেন চিয়া সিডস ? কেনই বা ?
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।