কলকাতা: শরীর সুস্থ রাখতে গেলে ভিটামিনের যেমন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তেমনই দরকারি মিনারেলসও। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে, শরীরে পর্যাপ্ত মিনারেলসের অভাবে অনেক অসুখ দেখা দিয়েছে। মিনারেলস সম্পর্কে বহু মানুষেরই বিশেষ না জানা থাকার ফলে তাঁরা নিয়মিত খাবারের তালিকায় সেগুলি রাখেননি। ফলস্বরূপ শরীরে এমন অনেক রোগ দেখা দিয়েছে, যা মিনারেলসের অভাবে হয়। হাড় মজবুত (Bone Health) রাখতে মিনারেলসজাতীয় খাবার খুবই দরকারী। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, হাজ মজবুত রাখতে কোন কোন খাবার অবশ্যই প্রয়োজনীয়।


হাড় মজবুত রাখার প্রয়োজনীয় খাবার-


মিনারেলস বলতে তার মধ্যে থাকে অনেক উপকারী উপাদান। আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম এবং আরও অনেক উপাদান নিয়ে তৈরি হয় মিনারেলস।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পালং শাক, বীট, বেদানা, আপেল, পেস্তা, আমলকি, ড্রাই ফ্রুটস, সবুজ শাক সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এগুলি হাড় মজবুত রাখতে খুবই সাহায্য করে।


আরও পড়ুন - Health Tips: অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে বাড়িতে এই গাছগুলো থাকলে


২. দুগ্ধজাত খাবার, সোয়াবিন, সবুজ শাক সব্জি, কড়াইশুঁটি, বাদাম, আখরোট, কমলালেবু, সূর্যমুখীর বীজে থাকে প্রচুর ক্যালশিয়াম। শরীর সুস্থ রাখতে এগুলি নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজনীয়।


৩. করোনা পরিস্থিতিতে প্রায়শই অনেককে জিঙ্কজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিতে দেখা যেত। কিন্তু কোন কোন খাবারে জিঙ্ক থাকে, সেই ধারণা বহু মানুষেরই নেই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিনস, দুধ, চিজ, দই, রেড মিট, ডাল, কুমড়ো, বাদাম, কাজুবাদাম, আমন্ড বাদাম, ডিম, গম, চালে থাকে জিঙ্ক।


৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। হাড় মজবুত রাখতে এবং স্নায়ু সচল রাখতেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কাজু বাদাম, আমন্ড বাদাম, পালং শাক, ব্রাউন রাইস, স্যামন মাছ, মুরগির মাংস প্রভৃতি ম্যাগনেশিয়ামজাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি।


৫. হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। মিষ্টি আলু, কড়াইশুঁটি, কুমড়ো, কলা, আলি, কমলালেবু, শশা, মাশরুম, কিশমিশ খাওয়া জরুরি।


এছাড়াও লাইফস্টাইলে নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, লাইফস্টাইলের উপর সুস্থতা অনেকটা নির্ভর করে। অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলে সুস্থ শরীরও খাবার হয়ে যায়। নানা অসুখ দেখা দিতে পারে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।