কলকাতা: গত কয়েক বছরে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ার পর থেকে মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রান্নায় ব্যবহার হওয়া তেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন যে তেল রান্নার মাধ্যমে আমাদের শরীরে যায়, তা স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই পরিবারের সদস্যদের কথা ভেবে যখন রান্নার তেল (Cooking Oil) নির্বাচন করবেন, তখন মাথায় রাখা দরকার বেশ কিছু বিষয়। সে সম্পর্কেই বিশদে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
রান্নার তেল নির্বাচনের সময়ে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার-
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকতে রোগমুক্ত থাকা খুবই জরুরি। তার জন্য বজায় রাখতে হবে শরীরের সঠিক ওজন। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে খেয়াল রাখা দরকার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নাহলে একাধিক জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। খাবারের মাধ্যমে প্রতিদিন বেশ কিছুটা পরিমাণে তেল যায় আমাদের শরীরে। যা সুস্থতার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুষ্টিবিদদের মতে, তাই রান্নার তেল বাছার ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক থাকা দরকার। দোকানে বাজারে অনেক তেল পাওয়া যায়। যা রান্নায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেকোনও তেলই কেনার আগে সেটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার। কোন তেলে কী উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো জেনে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করার। তাঁদের মতে, অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসে রয়েছএ প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান।
আরও পড়ুন - Kitchen Hacks: রান্নায় অত্যধিক ঝাল দিয়ে ফেলেছেন? কীভাবে চটজলদি কমাবেন?
পুষ্টিবিদদের মতে, অলিভ অয়েলে থাকা উপকারী উপাদান রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে। এর ফলে হৃদরোগ দূরে থাকে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো হৃদরোগগুলি প্রতিরোধ করতে কমানো দরকার ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা। শুধু হৃদরোগ প্রতিরোধ করাই নয়, অলিভ অয়েল মধুমেহ, ওবেসিটি এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারকেও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের কথা ভাবতে তাই রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।