কলকাতা: জল (Water) আমাদের শরীরকে বিভিন্ন দিক থেকে সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে ১০ থেকে ১২ গ্লাস জল খাওয়া প্রয়োজন। তবে, এই হিসেবটা পুরুষ ও মহিলার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের প্রতিদিন ৩.৭ লিটার জল খাওয়া দরকার। আবার মহিলাদের ক্ষেত্রে পরিমাণটা একটু কম। তাঁদের প্রতিদিন ২.৭ লিটার জল খাওয়া দরকার। কিন্তু অনেকেই উপকার হচ্ছে মনে করে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি জল খেয়ে নেন। জল খাওয়া উপকারী। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল খাওয়া (Drinking Water) কি আদৌ উপকারী? কী প্রভাব পড়ে এতে শরীরে?
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া স্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে, পর্যাপ্ত পরিমাণের তুলনায় বেশি জল খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং, তা থেকে হতে পারে নানা সমস্যাও। অত্যধিক মাত্রায় জল খেলে একাধিক অসুখ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পেশিতে টান ধরা, দুর্বলভাব এবং আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, জল পিপাসা পাচ্ছে না। অথচ প্রস্রাবের রং সাদা কিংবা হালকা হলুদ দেখা যাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হতে পারে সেই ব্যক্তি অন্যান্য যে খাবার খেয়েছেন তার সঙ্গে তরল শরীরে গিয়েছে। এর ফলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়নি।
আরও পড়ুন - Oral Health: দাঁত মাজার আগে জল খাচ্ছেন? ঠিক করছেন তো?
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওজন কত তার উপর নির্ভর করে শরীরে কতটা জলের প্রয়োজন। সাধারণত পুরুষের ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১২ গ্লাস অথবা ৩.৭ লিটার জল প্রয়োজন। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে পরিমাণটা ২.৭ লিটার। কিন্তু প্রতি ২০ কেজিতে ১ লিটার জল প্রয়োজন। অর্থাৎ, সেই অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তির ৬০ কেজি ওজন হয়, তাহলে তার দরকার ৩ লিটার জল খাওয়া।
এছাড়াও আমরা সারাদিনে যে খাবার খাই, তার সঙ্গে বেশ কিছুটা পরিমাণ জল আমাদের শরীর পায়। খাবারের সঙ্গে, পানীয়র সঙ্গে, ফল, সব্জির সঙ্গে প্রায় ২০ শতাংশ জল আমাদের শরীর পায়। এই নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি যদি জল খাওয়া হয়, তাহলে তা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ, শুধু জল খেলেই তো চলবে না। তা সঠিকভাবে যাতে শরীরে কাজ করে তার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চাও করতে হবে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।