কলকাতা: আর্থ্রাইটিস হলে হাঁটাচলার ক্ষেত্রে খুব সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যায় মহিলাদের বেশি ভুগতে দেখা যায়। সারা বিশ্বে কমবেশি ১০০ রকমের আর্থ্রাইটিস রয়েছে। এগুলির মধ্যে অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসই বেশি পরিচিত। কারণ এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা বাড়তে থাকে। তবে খাবারদাবার নিয়ন্ত্রণ করলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
আর্থ্রাইটিস কেন হয় ?
এই রোগের সঠিক কারণ জানা না থাকলেও বেশ কিছু কারণ লক্ষ করা যায় রোগীদের মধ্যে। সেগুলির কথাই বলে থাকেন চিকিৎসকরা।
- বেশ কিছু ক্ষেত্রে আর্থ্রাইটিস জিনগত কারণে হতে পারে। অর্থাৎ পরিবারে কারও থাকলে রোগটির ঝুঁকি বাড়ে।
- অনেক ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই এই রোগকে অনেকে বয়সের সমস্যা বলে থাকেন।
- বেশি ওজন বা ওবেসিটি হলে আর্থ্রাইটিস হতে পারে।
- জয়েন্টের বারবার সঞ্চালনের কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ধূমপানের সমস্যা থেকেও আর্থ্রাইটিস হতে পারে।
আর্থ্রাইটিসে কী খাবেন না?
রোজকার পাতে অনেক কিছুই থাকে। তবে সেগুলি সব শরীরের পক্ষে উপকারী নয় মোটেই। বিশেষ করে যাদের আর্থ্রাইটিস থাকে, তাদের আরও সমস্যা। রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই কিছু খাবার বাদ দিতে হবে।
রেড ও প্রসেসড মিট - এই ধরনের খাবার প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস থাকলেও এটা পাত থেকে বাদ দিতে হবে।
অতিরিক্ত সুগার - বেশ কিছু খাবার যেমন লজেন্স, আইসক্রিমে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। আর্থ্রাইটিস থাকলে এগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
উচ্চমাত্রায় প্রসেসড খাবার - বেশ কিছু খাবার উচ্চমাত্রায় প্রসেস করা হয়। ফাস্টফুডজাতীয় খাবার এই তালিকায় পড়ে । আর্থ্রাইটিস কমাতে হলে এই ধরনের খাবার পাত থেকে বাদ রাখতে হবে।
নোনা খাবার - অতিরিক্ত নুন রয়েছে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বিভিন্ন প্যাকেটজাতীয় খাবারের মধ্যে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে। এই ধরনের খাবার ডায়েট থেকে বাদ রাখতে হবে।
গ্লুটেনসম্পন্ন খাবার - আটা, বার্লি, রাইয়ের মধ্যে কিছু বিশেষ ধরনের প্রোটিন থাকে। এগুলোকে একসঙ্গে গ্লুটেন বলা হয়। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই গ্লুটেন আর্থ্রাইটিসের প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়।
অ্যালকোহল - একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যালকোহলের উপাদান অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন - Piles Remedies: পাইলস কমবে ৫ অভ্যাসেই, অব্যর্থ দাওয়াই চিকিৎসকের