কলকাতা: ধূমপান (Smoking) স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এ কথা সকলেরই জানা। তারপরও বহু মানুষ আজও ধূমপানের অভ্যাসে জর্জরিত। বিশেষজ্ঞরা জানান, এটা এমন একটা অভ্যাস, যা একবার শুরু করলে, ছাড়া মুশকিল হয় কিন্তু অসম্ভব নয়। তারপরও তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও অভ্যাসই যদি মানুষ মনে করে ত্যাগ করবে, তাহলে তা ত্যাগ করা সম্ভব। তার জন্য কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চলা প্রয়োজন। 


বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা জানান যে, ধূমপান করলে আমাদের শরীরের প্রভূত ক্ষতি হয়। ফুলফুস, হৃদপিণ্ড এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গে নানা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই এই অভ্যাস এখনই ত্যাগ করা প্রয়োজন। অনেকেই আবার চাইলেই ধূমপানের নেশা থেকে কিছুতেই বেরতে পারেন না। তাঁদের জন্য কিছু সহজ পদ্ধতি বাতলাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রথমে নিজের মনে চিন্তা করুন, কেন আপনি ধূমপান করছেন। ধূমপান স্বাস্থ্যের কী কী ক্ষতি করছে, সেগুলো ভাবার চেষ্টা করলেই এই অভ্যাস ত্যাগ করার রাস্তা আপনি পেয়ে যাবেন। 


২. ধূমপানের ফলে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ে। এর কারণে মস্তিষ্কে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ধূমপান ত্যাগের জন্য অনেক জায়গায় বিভিন্ন ক্লাস করানো হয়। কাউন্সিলিংও করানো হয়। প্রয়োজনে সেগুলিতে যোগ দিতে পারেন।


আরও পড়ুন - Health Tips: গলার ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? সারিয়ে ফেলুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে


৩. ধূমপান ত্যাগের জন্য যোগাসন, প্রাণায়াম প্রভৃতি অভ্যাস করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও এই সমস্ত অভ্যাস ত্যাগ করা সম্ভব বলে মত তাঁদের।


৪. পরিবারের সদস্য, প্রিয়জন, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন যে আপনি ধূমপানের অভ্য়াস ত্যাগ করতে চাইছেন। দেখুন তাঁরা কী পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রয়োজনে কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলুন। মনোবিদের পরামর্শ নিন। আর তাঁদের পরামর্শ মতো চলার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


৫. নিজেকে কিছুটা সময় দিন। পছন্দমতো জায়গায় বেড়াতে যান কিংবা পছন্দ মতো খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ধূমপানের কথা মনে নিয়ে আসতেই নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। গান শোনা, হালকা মেজাজে থাকার কথা বলছেন তাঁরা।


৬. ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য আরও অন্যান্য নেশা ত্যাগ করা খুবই প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


৭. বাড়ি থেকে ধূমপানের সমস্ত কিছু দূর করা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।