কলকাতা: দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে সাহায্য করবে চিয়া বীজ। এই বীজে উপস্থিত ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়েটে চিয়া বীজ ঢোকালে কোনও সমস্যা ছাড়াই দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। চিয়া বীজে একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা শরীরে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য় করে। বিপাকের হার বাড়ায়। নানাভাবে খাবারে ব্যবহার করা যায় চিয়া।
চিয়া বীজ স্মুদি
উপাদান:
১ চা চামচ চিয়া বীজ
১ কাপ দুধ
১ কলা
অর্ধেক কাপ জল
অন্য ফল রাখা যেতে পারে
প্রথমে চিয়া বীজ ভাল করে ধুয়ে নিন। তারপর জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এবার ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার চিয়া বীজের পেস্টে দুধ, জল ও ইচ্ছে হলে চিনি দিন। এবার কলা এবং অন্য ফল থাকলে তা দিয়ে দিন এবং ভাল করে ব্লেন্ড করুন। এভাবেই তৈরি চিয়া সিডস স্মুদি। ঠান্ডা হয়ে গেলে খেয়ে ফেললেই হবে। চিয়া সিড স্মুদি খেলে ওজন দ্রুত কমতে পারে। এটি ফাইবার এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর।
চিয়া বীজ স্যালাড
উপাদান:
২ চা চামচ সেদ্ধ চিয়া বীজ
১ টি টম্যাটো
১ টি ক্যাপসিকাম
২ টি পেঁয়াজ, এছাড়া ইচ্ছে হলে লেটুস পাতা বা আরও সবজি দেওয়া যায়
১ টেবিল চামচ লেবুর রস
ধনে গুঁড়ো, নুন, গোল মরিচ
প্রথমে চিয়া বীজগুলো ভাল করে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার একটি পাত্রে সেদ্ধ চিয়া বীজ, টম্যাটো, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ-সহ বাকি সবজি দিন। তাতে লেবুর রস এবং মশলা দিন। সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিন। তৈরি চিয়া বীজ স্যালাড। ডিনারে এই স্যালাড খেলে ওজন দ্রুত কমবে। এটি ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ।
দুধের সঙ্গে চিয়া
উপাদান:
১ গ্লাস দুধ
১ চা চামচ চিয়া বীজ
১ চা চামচ মধু
প্রথমে ১ গ্লাস দুধ গরম করুন। এবার এতে ১ চামচ চিয়া বীজ দিন। কয়েক মিনিটের জন্য সেটি রেখে দিন যাতে চিয়া বীজ অল্প ফুলে জেলের মতো হয়ে যায়। এবার এতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে দিন। এবার এই মিশ্রণটি খেয়ে নিন। চিয়া বীজ এবং দুধ একসঙ্গে খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। চিয়া বীজ এবং দুধের মিশ্রণ পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখবে এবং বিপাকের হার বৃদ্ধি করে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
চিয়া বীজের জল
উপাদান:
১ গ্লাস জল
১ চা চামচ চিয়া বীজ
১ গ্লাস জলে ১ চামচ চিয়া বীজ দিন। এভাবেই সারারাত রেখে দিন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এই জল খেয়ে নিন। জলে ভিজিয়ে রাখা চিয়া বীজ ফুলে জেলের মতো হয়ে যাবে। এতে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ডিটক্সিফাই করবে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: বিলেতের মাটিতে বাংলার নাগরদোলা! চন্দননগরের আলো! আয়োজনে 'আড্ডা'