Venomous Animals Of Amazon Rainforest: 'এক ছোবলে ছবি' সিনেমার এই সংলাপ অনেকেরই হয়তো মনে আছে। ভোটের পরিস্থিতিতে যে সংলাপ রাজনীতির ময়দানেও এসেছিল। জাত গোখরো বা অন্যান্য বিষধর সাপের সত্যিই ছবি করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু তার থেকেও বেশি বিষ ধরে রাখার ক্ষমতা অন্য প্রজাতির প্রাণীদের। পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় ও ভয়ানক জঙ্গল হল আমাজন রেইনফরেস্ট। সেখানকার বিষাক্ত প্রাণীদের নাম শুনলে একটু অবাক হতে পারেন অনেকে। কারণ ব্ল্যাক মাম্বা, জাত গোখরো বা কেউটে সেই তালিকায় নেই।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর প্রাণীরা
১. আর্মড স্পাইডার - সাপ নয়, চরম বিষধর হিসেবে প্রথম স্থান দখল করে আছে আর্মড স্পাইডার। আমাজনের রেইনফরেস্টে পাওয়া যায় এই মাকড়সাটি। একে ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডারিং স্পাইডারও বলে। নিউরোটক্সিন রয়েছে এর বিষে। যা সরাসরি মানুষের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ও প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে।
২. ব্ল্যাক কাইমান - কুমির প্রজাতির প্রাণী। কুমির জগতের সবচেয়ে বড় প্রাণী। ওজন প্রায় ৪৫০ কেজি মতো হয়ে থাকে। স্তন্যপায়ী প্রাণীর পাশাপাশি অনায়াসে খেয়ে ফেলতে পারে পাইথন সাপও। এমনকি অ্যানাকোন্ডাও।
৩. ইলেকট্রিক ইল - বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে নিজের খাবারকে শিকার করে এই মাছ। জলের মধ্যে এটি ৮৬০ ভোল্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সঞ্চার করতে পারে।
৪. গ্রিন অ্যানাকোন্ডা - পৃথিবীর অন্যতম বড় সাপ সবুজ অ্যানাকোন্ডা। লম্বায় প্রায় ৩০ ফুট হয়। ওজন কমবেশি ২২৭ কিলোগ্রাম। মানুষের উপর এই অ্যানাকোন্ডার আক্রমণের খবর সেভাবে শোনা যায় না। কিন্তু জাগুয়ারের মতো প্রাণীকেও গিলে ফেলতে পারে অ্যানাকোন্ডা।
৫. পয়সন ডার্ট ফ্রগ -ব্যাঙের সাধারণত রং সবুজ। তবে ব্যাঙের নয়। নীল, আকাশি গায়ের রঙের মধ্যে কালো কালো ছোপ রয়েছে এদের। এই ধরনের ব্যাঙের মতোই আরেকটা হল গোল্ডেন পয়সন ফ্রগ। যা একসঙ্গে ১০-১২ টি মানুষ মারার বিষ ধারণ করতে সক্ষম।
৬. পিরানহা - পিরানহা রেইনফরেস্টের মধ্যে প্রবেশ করলে যে মাছের কথা বলতেই হয়, সেটি হল পিরানহা মাছ। ভয়ঙ্করধারালো দাঁত দিয়ে নিমেষে খেয়ে শেষ করে দিতে পারে একটি প্রাণীকে। তবে মানুষের সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম।
আরও পড়ুন - Zion Clark: ‘অজুহাত নয়’ গিনিসজয়ী পা না-থাকা জিয়নের ‘দাঁড়ানো’র মন্ত্র এটাই
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।