Under Eye Care: ডার্ক সার্কেলের (Dark Circles) সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চোখের চারপাশে বিশেষ করে তলায় গাঢ় কালচে ছোপ দেখা যায়। একাধিক কারণে এই ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দেখা যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল রাতে কম ঘুম হওয়া এবং স্ট্রেস (Stress)। এই দুইয়ের কারণে খুব সহজে ডার্ক সার্কেল দেখা যেতে পারে। ঘরোয়া উপায়েই এই ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দূর করা সম্ভব। এক্ষেত্রে কী কী করতে হবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
টি ব্যাগ- চোখের নীচের কালচে ভাব দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন টি-ব্যাগ। সহজেই উপকার পাবেন। গ্রিন টি এবং ক্যামোমাইল টি- এর টি-ব্যাগ ব্যবহার করা ভাল। প্রথমে গরম জলে টি-ব্যাগ ভিজিয়ে নিন। তারপর তা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এরপর ওই টি-ব্যাগ চোখের তলায় লাগান। এই টি ব্যাগের সাহায্যে শুধু ডার্ক সার্কেল নয়, দূর হয় চোখের নীচের এবং চারপাশের ফোলা ভাবও।
অ্যালোভেরা জেল- অ্যালোভেরা জেল ত্বকের পক্ষে সবসময়েই ভাল। এই অ্যালোভেরা জেল- এর সাহায্যেও চোখের চারপাশের কালচে ভাব দূর করা সম্ভব। প্রতিদিন রাতে ঘুমনোর আগে পুরু করে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখুন চোখের তলার কালচে অংশে। এই উপকরণ ত্বক হাইড্রেটেড রাখতেও সাহায্য করে। বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ থাকলে সেখান থেকে টাটকা অ্যালোভেরা জেল পাবেন আপনি। এছাড়াও দোকান থেকে কিনে নিতে পারেন অ্যালোভেরা জেল।
শসার টুকরো- চোখের তলার কালচে ভাব কিংবা চোখের চারপাশের লালচে ভাব, অস্বস্তি, জ্বালাভাব, চুলকানি, ফোলাভাব কমাতে ব্যবহার করতে পারেন শসার টুকরো। শসার মধ্যে এমন কিছু উপকরণ রয়েছে যা ত্বক ঠান্ডা রাখতে এবং ময়শ্চারাইজার বজায় রাখতে সাহায্য করে। গোল করে শসা কেটে ব্যবহার করুন। বরফ জলে ভিজিয়ে রেখে তারপর শসার টুকরো চোখের উপরে দিলে জ্বালা এবং ফোলা ভাব দূর হবে। কোনও রকম অস্বস্তি থাকলে আরাম পাবেন।
আমন্ড অয়েল- ডার্ক সার্কেল অর্থাৎ চোখের নীচের কালচে দাগছোপ দূর করতে সাহায্য করে আমন্ড অয়েল বাজার থেকে এই তেল কিনে নিতে পারবেন। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্ট-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন কে এবং ই এইসব উপকরণ রয়েছে আমন্ড অয়েলে যা ডার্ক সার্কেলের সমস্যা কমায়। চোখের নীচের কালচে অংশে আমন্ড অয়েল দিয়ে আলতো হাতে বলা ভাল আঙুলের সামান্য চাপে মালিশ করতে হবে। নিয়মিত এই অভ্যাস বজায় রাখলে উপকার পাবেন।
পর্যাপ্ত ঘুম- ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দূর করার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। রাতে সঠিক পরিমাণে ঘুমোতে হবে এবং নিয়ম মেনে রোজ মোটামুটি একই সময়ে ঘুমোতে হবে। প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। রাতের ঘুম দিনে পূরণ হয় না। তাই রাতেই এই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দরকার। অনেক রাতে ঘুমিয়ে দেরি করে উঠলেও লাভ হবে না।
আরও পড়ুন- প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস থাকলে ঝরবে মেদ, মজবুত হবে পায়ের পেশী, আর কী কী উপকার পাবেন?