কলকাতা: আজকের প্রজন্মের বাচ্চাদের হামেশাই দেখা যায় ভিডিও গেমে (Video Game) বুঁদ হয়ে থাকতে। স্মার্টফোন হোক কিংবা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপে। ভিডিও গেমের নেশায় মজে থাকে তারা। শুধু বাড়িতেই নয়, সাইবার ক্যাফেতে গিয়েও বাচ্চারা ভিডিও গেম খেলে থাকে। অনেক সময়ই ভিডিও গেম খেলা নিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে বাবা-মায়ের অশান্তির কথা শোনা যায়। অনেক বাবা-মা ভিডিও গেম খেলা একেবারেই পছন্দ করেন না। কিন্তু এই ভিডিও গেম খেলা কি আদৌ ভালো? নাকি খারাপ? স্বাস্থ্যে কী প্রভাব পড়ে এর? সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ভিডিও গেম খেললে স্বাস্থ্যে কী প্রভাব পড়ে?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভিডিও গেম খেলার অনেকরকম প্রভাব রয়েছে আমাদের স্বাস্থ্যে। তবে তা পুরোপুরি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। এর বেশ কিছু উপকারী দিকও রয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে ভিডিও গেম খেলার অভ্যাস। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মস্তিষ্ক অনেক বেশি সচল হয় ভিডিও গেম খেললে। স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। বেশ কিছু সমীক্ষার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা। যে সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল নানা বয়সের শিশু ও কিশোররা। সমীক্ষা শেষে গবেষকরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত শিশুরা নিয়মিত ভিডিও গেম খেলেছে, তাদের মানসিক সচলতা অনেক বেশি দেখা গিয়েছে। তারা অনেক বেশি সক্রিয় থাকতে পেরেছে। যেকোনও পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তা বেশি মাত্রায় স্থির করতে পেরেছে। তবে, এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা এমনও পরামর্শ দিচ্ছেন যে, কোনও কিছুই অত্যধিক পরিমাণে ভালো নয়। যেকোনও কিছুর যেমন একটা ভালো দিক রয়েছে। তেমনই রয়েছে খারাপ দিকও। তাই মস্তিষ্ক সচল থাকলেও অত্যধিক মাত্রায় ভিডিও গেম খেলার নানা ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। স্মৃতিশক্তি উন্নত রাখতে শিশুদের খাবার তালিকায় নানা কিছু রাখার পররামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন - Health Tips: পাঁচ ঘণ্টারও কম ঘুমোচ্ছেন? কোন জটিল রোগের শিকার হতে পারেন?


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুরা সবুজ শাক সব্জি খেতে একেবারেই পছন্দ করে না। কম-বেশি প্রত্যেক বাড়িতেই শিশুদের সব্জি খাওয়ানোর জন্য কার্যত লড়াই করতে হয় অভিভাবকদের। পুষ্টিবিদদের মতে, শিশুদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখা প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক শব্জি। পালং শাক, মেথি শাক, ধনেপাতা, সরষে শাক, বিটের পাতা প্রভৃতি খাওয়ানোর দরকার ওদের। এতে থাকা উপকারী উপাদান মানসিক স্বাস্থ্য বজায়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করে।


২. প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে ডিম এবং মাছে। শিশুদের বেড়ে ওঠার দিনগুলোয় এগুলো খাওয়ানো খুবই জরুরি। এতে থাকা উপকারী ফ্যাট এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুদের মস্তিষ্ক সচল রাখতে দারুণ উপকারী। এছাড়াও ওদের খাবারের তালিকায় ডিমের কুসুম রাখার পরামর্শ তাঁদের। 


৪. শিশুদের স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে বেরির জুড়ি মেলা ভার। ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রেড চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ফাইবার, ভিটামিন সি এবং আরও অনেক উপকারী উপাদান। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।