কলকাতা: ধীরে ধীরে পারদ চড়ছে। গরম বাড়ছে পরিবেশে। আর তার সঙ্গে ঘাম ও শরীরের জল কমে যাওয়া। এই অবস্থায় সেরা ফল তরমুজ। শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখা ছাড়াও একাধিক উপকারিতা রয়েছে এই ফলের। কিন্তু বাজারে অন্যান্য ভেজাল খাবারের মতো ভেজাল তরমুজও পাওয়া যায়। সেই ভেজাল তরমুজ খেলে অবশ্য শরীরের কোনও উপকার হয় না। বরং অপকার বেশি হয়। কী করে চিনবেন আসল তরমুজ আর নকল তরমুজ ? রয়েছে বেশ কিছু উপায়। তবে তার আগে জেনে নেওয়া যাক কেন খাবেন তরমুজ।


তরমুজের নানা গুণ (Watermelon Benefits)



  • হাইড্রেটেড রাখে - গরমকাল মানেই শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়‌। তরমুজ জল ধরে রাখতে সাহায্য করে।

  • সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে - রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে তরমুজ। ফাইবার থাকায় এই বিশেষ গুণের অধিকারী তরমুজ।

  • হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে - ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

  • প্রদাহ দূর করে - শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের প্রদাহের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। সেই প্রদাহ দূর করে তরমুজের গুণ।

  • স্নায়ু সচল রাখে - গরমে কাহিল হয়ে‌ পড়া স্বাভাবিক। কারণ শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। এদিকে ব্রেনের অধিকাংশটাই জল। তাই তরমুজ জলের পরিমাণ ঠিক রেখে স্নায়ু চাঙ্গা রাখে।

  • ওজন কমাতে সাহায্য করে - ওজন কমাতে সাহায্য করে তরমুজ। কারণ এর মধ্যে থাকা ফাইবার‌ পেট ভরাট রাখে।


কীভাবে চিনবেন তরমুজ (Watermelon adulteration test) ?


কৃত্রিম লাল রং - তরমুজ পাকা দেখাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা লাল এরিথ্রোসিন রং মিশিয়ে দেন। একটি তুলো নিয়ে এটি চেনা যায়। আসল তরমুজের লাল অংশে তুলো ধীরে ধীরে ঘষলে কোনও রং উঠবে না। কিন্তু নকল তরমুজ থেকে লাল রং উঠে আসবে।


স্বাদ কম - আসল তরমুজ স্বাদ দিয়ে যায় চেনা। স্বাদে কমতি হবে না। কিন্তু ভেজাল রং দেওয়া তরমুজে কোনও স্বাদ পাবেন না। 


দ্রুত পচন - অনেকে তরমুজ কিনে এনে রেখে দেন। পর দিন খান।‌ এক্ষেত্রেও তাই করতে পারেন। তরমুজ কিনে এনে দুইদিন রেখে দিন। ভেজাল রং  দেওয়া তরমুজ দ্রুত পচে যায়‌। আসল তরমুজের সেই ভয় নেই।


কড়াইতে দিয়ে দেখুন - কড়াইতে কিছুটা জল গরম করে এক টুকরো তরমুজ দিন।‌ দ্রুত জল লাল হলে তরমুজে রং মেশানো ছিল।


আরও পড়ুন - Real Or Fake Green Peas: ট্রেনে, বাসে দেদার সেল রং করা সবুজ মটরের ! আসল মটর চিনুন এইভাবে