কলকাতা: আধুনিক সময়ে লাইফস্টাইল ডিজিজ (Lifestyle disease)-এর কথা শোনা যায়। দৈনিক রুটিনের অনিয়ম, স্ট্রেস, উদ্বেগ, খাওয়া-দাওয়ার ধরন-সব মিলিয়েই প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। বেড়ে যায় ওজন, আর ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণেই থাবা বসায় নানা রোগ।
ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চা. কড়া ডায়েট (Diet)- এরকম নানা পদক্ষেপ করা হয়। পাশাপাশি কিছু টোটকাও ব্যবহার করা যায়। যা সহজেই ওজন কমাতে সাহায্য করে। এমনই একটি টোটকা হল দারচিনি। বিভিন্ন রান্নার কাজে গোটা দারচিনি বা গুঁড়ো দারচিনি ব্যবহার করা হয়। এই মশলা কাজে লাগবে ওজন কমানোর জন্য। কীভাবে?
গরম জলে দারচিনি:
- এক কাপ জলে গোটা দারচিনির কয়েকটি টুকরো দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে।
- তারপরে সেটিকে অল্প ঠান্ডা করে খাওয়া যেতে পারে।
- সকালে উঠে এই দারচিনি জল খাওয়া সবচেয়ে উপকারী হতে পারে।
- গোটা দারচিনি না থাকলে গরম জলে দারচিনি গুঁড়ো দিয়েও খাওয়া যায়।
সারা রাত জলে ডুবিয়ে:
- যদি জলে ফুটিয়ে খেতে ইচ্ছে না করে।
- সেক্ষেত্রে একটি গ্লাসে কয়েকটি দারচিনি (Cinnamon) রাতভর ভিজিয়ে রাখা যায়।
- এক্ষেত্রে জলের রং ততটা ঘন হবে না।
- সকালে সেটি খাওয়া যেতে পারে।
সঙ্গে থাকতে পারে মধুও:
দারচিনির জলেই মেশানো যায় কয়েক ফোঁটা মধু (Honey)। স্বাদেও বদল আসে। মেলে উপকারও। মধু ওজন কমাতে সাহায্য করে।
নানা উপকার:
- বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়।
- ব্যয়ামের আগেও এটি খাওয়া যায়, দীর্ঘক্ষণ এনার্জি পাওয়া যায়।
- রক্তে শর্করা বৃদ্ধি মাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়।
- উচ্চ রক্তচাপ, এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
- দারচিনিতে ভরপুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট (Anti Oxidant) থাকে, যা প্রদাহ রুখতে এবং আরও একাধিক কাজে প্রয়োজনীয়।
- ভাল থাকে ত্বকের স্বাস্থ্যও।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।