Glycemic Index For Weight Loss: আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে দ্রুত ওজন বেড়ে যাচ্ছে। অনেককেই কাজ করতে হয় দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে থেকে। যার ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকছে না মেদ। অতিরিক্ত ওজন থেকে ধীরে ধীরে শরীরে নানা রোগও বাসা বাঁধতে থাকে। এই রোগগুলির অধিকাংশই আবার দেখা যায় ক্রনিক রোগ। তাই এই ওজন একটা সময়ের কমাতেই হয়। আর এই ওজন কমানোর কাজেই সহায়ক হতে পারে একটি বিশেষ ইনডেক্স। চিকিৎসকরা এই ইনডেক্সকে গ্লিসিমিক ইনডেক্স (Glycemic Index) বলে থাকেন। কীভাবে এই ইনডেক্স আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে, দেখা নেওয়া যাক।


গ্লিসিমিক ইনডেক্স আদতে কী ?


গ্লিসিমিক ইনডেক্স আদতে বলে দেয়, কোন খাবার রক্তের সুগার লেভেল কতটা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ গ্লিসিমিক ইনডেক্স মানে শরীরে বেশি সুগার ঢুকছে। নিম্ন গ্লিসিমিক ইনডেক্স মানে শরীরে কম সুগার ঢুকছে। ডায়াবেটিস রোগীদের বেশিরভাগ খাবার এই ইনডেক্স দেখেই খেতে হয়। কারণ হঠাৎ উচ্চ গ্লিসিমিক ইনডেক্সের খাবার খেয়ে নিলে রক্তে সুগার স্পাইক করে যায়। যার ফলে বড়সড় বিপদ ঘটার আশঙ্কা থাকে।


গ্লিসিমিক ইনডেক্স কীভাবে ওজন কমাবে ?


সুগার আসলে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট। যেটুকু দরকার সেটুকু খরচ হয় কার্বোহাইড্রেট। বাকি অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরে ফ্যাটের আকারে জমা হয়। এবার বেশি কার্বের কোনও খাবার খেলেই ওজন বাড়বে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সবসময় বোঝা মুশকিল, কোনটায় কার্ব বেশি আর কোনটায় কম। যদি ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখেন, তাহলেও সেখানে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ পাবেন। বেশি না কম সেই উল্লেখ সবসময় মেলে না। এই ব্যাপারে সাহায্য করবে গ্লিসিমিক ইনডেক্স (Glycemic Index For Weight Loss)।


গ্লিসিমিক ইনডেক্স মাপ


লো গ্লিসিমিক ইনডেক্স - যেই খাবারগুলির গ্লিসিমিক ইনডেক্স ৫৫-র কম, সেগুলি ওজন বাড়াবে না বেশি। 


হাই গ্লিসিমিক ইনডেক্স - তবে যেগুলির ইনডেক্স মাপ ৭০-র বেশি, সেগুলি ওজন বাড়াতে পারে। সেগুলি তাই বুঝে খেতে হবে।


মডারেট গ্লিসিমিক ইনডেক্স -  ৫৫-৭০-র মধ্যে থাকা খাবারগুলি এই তালিকায়। এগুলি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।


কোথায় দেখবেন গ্লিসিমিক ইনডেক্স


নেটে ব্রাউজারে গ্লিসিমিক ইনডেক্স সার্চ করলেই বিভিন্ন মেডিকেল সাইট চলে আসবে। সেখান খাবারের নাম দিলে সহজেই তার জিআই বা গ্লিসিমিক ইনডেক্স মান দিয়ে দেবে। পাঠকের সুবিধার্থে এই প্রতিবেদনে কিছু হাই ও লো গ্লিসিমিক ইনডেক্স খাবারের নাম দেওয়া হল।


 



  • হাই গ্লিসিমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার


 


ভাত, রুটি, ময়দা বা আটা দিয়ে তৈরি খাবার ইত্য়াদি


 



  • লো গ্লিসিমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার


 


পেয়ারা, আপেল, স্ট্রবেরি, ব্রোকোলি, বেগুন, আমন্ড, চিনেবাদাম, মাছ, চিকেন, সবুজ শাকসবজি।


ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Health Tips: সুগারে চকোলেট নিষিদ্ধ না উপকারী ? খেলে কী হয়, না খেলেই বা কী ?


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।