কলকাতা: ওজন নিয়ে সবসময়েই সতর্ক থাকার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি আরও নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হৃদরোগ. ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে হাঁটুর সমস্যা, ঝুঁকি থাকে অনেক কিছুরই। ওজন কমাতে অনেকেই নিজেদের মতো করে ডায়েট করেন, যা আদতে কোনও সাহায্য করে না।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, তাঁদের পরামর্শ মেনে ডায়েট, নিয়মিত শরীরচর্চা, নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার অভ্যাস- এগুলি একসঙ্গে মেনে চললে কমতে পারে ওজন। কিছু কিছু বিশেষ মেনু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। সেগুলি কী কী?
আপেল ও পিনাট বাটার:
কিছু কিছু খাবার একসঙ্গে খেলে অনেকটা বেশি উপকার মেলে। দুটি খাবারের খাদ্য়গুণের কারণেই এমনটা হয়। আপেল ভিটামিনে ভরপুর, রয়েছে ফাইবারও। অন্যদিকে পিনাট বাটার বিভিন্ন ধরনের ফ্যাট সমৃদ্ধ। যা সহজেই পেট ভরায়। আপেলের সঙ্গে পিনাট বাটার ব্য়বহার করলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ওজনও কমাতে সহায়ক।
অ্যাভোকাডো এবং শাক-আনাজ:
ওজন কমাতে স্যালাডে ভরসা রাখেন অনেকেই। শাক-সব্জিতে ক্যালোরির মাত্রা অনেকটাই কম। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পোষক পদার্থে ভরপুর। পেটও ভর্তি রাখে অনেকক্ষণ। এই স্যালাডেই ব্যবহার করা যায় অ্যাভোকাডো। এই ফলে স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যা খিদে মেটাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি সব্জির পুষ্টিপদার্থ শরীরে শোষণ করতে সাহায্য করে অ্যাভোকাডো।
ডিমের সঙ্গে বেলপেপার:
ডিমে কোলাইন (Choline) থাকে, যা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। আর বেলপেপারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ওই দুটি মিলে কর্টিসল (Cortisol) কমাতে সাহায্য করে। কর্টিসল পেটের মেদ বৃদ্ধি করে। একটি বেলপেপার অর্ধেক করে কেটে তার ভিতরে বীজ ফেলে দিয়ে সেখানে ডিম ফাটিয়ে ভিতরের অংশটা দিয়ে বেক করে নিতে পারেন। তৈরি হবে চমৎকার স্ন্যাকস।
কলা ও বাদামের মাখন:
কার্ব পেয়ারিং (Carb Pairing) কথাটি এখন বেশ চালু হয়েছে। প্রতিবারের খাবারের সময় একটি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার এবং আরেকটি প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে। জিম করা বা সাঁতার কাটার পরে এই ধরনের ডায়েটের পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট একসঙ্গে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কলা প্রচুর কার্বোহাইড্রেটের উৎস। পিনাট বাটার প্রোটিনের উৎস।
গ্রিন টি ও লেবু:
নজর থাকুক পানীয়তেও। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভরসা করা যায় গ্রিন টিতে। ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে এতে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতির পাশাপাশি, ত্বকেরও খেয়াল রাখে। এতে লেবুর রস মেশালে মিলবে আরও উপকার।
ডার্ক চকোলেট:
ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকা অন্যান্য পুষ্টি উপাদানগুলি শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে মানসিক দৃঢ়তা বাড়াতে সহায়তা করে। ডার্ক চকোলেট অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভানোল গুলিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ক্যান্সারের মতন মারণ রোগ জীবাণু বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। ডার্ক চকোলেট অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর একটি খাদ্য উপাদান। এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন যথাযথ পরিমাণে রয়েছে, যা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। সবকিছুই এরমধ্যে রয়েছে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ছে দেশে ! গ্লিডেন অ্যাপে ২০ লক্ষ ভারতীয়