Pneumonia: আজ ১২ নভেম্বর বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস (World Pneumonia Day)। ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর প্রথম এই নিউমোনিয়া দিবস পালিত হয়েছিল। তারপর থেকে অব্যাহত রয়েছে এই ধারা। নিউমোনিয়া একটি শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ (Respiratory Infection)। আজকাল অনেকের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা যায়। কারও যদি ইমিউনিটি সিস্টেম (Immunity System) অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং মরশুম বদলের সময় ঠান্ডা লেগে যায় বা সর্দি-কাশি সহজেই শুরু হওয়ার প্রবণতা থাকে, তাহলে বুকে কফ জমে নিউমোনিয়া ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যখন কারও ফুসফুসের বায়ুথলি কোনও ফ্লুয়িড দ্বারা পরিপূর্ণ হয় এবং তার জেরে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়, তখন বলা যেতে পারে ওই ব্যক্তি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাইল্ড নিউমোনিয়া হয়েছে, এমনটাই লক্ষ্য করা যায়। সেভাবে উপসর্গও থাকে না নির্দিষ্ট কিছু। সাধারণ ভাবে ঠান্ডা লেগেছে, সর্দি-কাশি-জ্বর এইসবই ভেবে নেন সকলে। কিন্তু মাইল্ড থেকে নিউমোনিয়ায় সিরিয়াস বা জটিল হতে বেশি সময় নেয় না। প্রাথমিক ভাবে সাধারণ ওষুধে বাড়িতেই কাজ হয়ে গেলেও সমস্যা বাড়লে জটিলতা অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে। তাই শুরুতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সামান্যতম সমস্যা হচ্ছে বুঝলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। 


নিউমোনিয়ার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে জ্বরও বাড়তে থাকে। দৈহিক তাপমাত্রা কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পায়। ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর উঠতে পারে। শুকনো কাশি থেকে শুরু হতে পারে মারাত্মক কাশি। হলুদ, সবুজ রঙের কফ বেরোতে পারে। কাশির সঙ্গে রক্তও পড়তে পারে। এই সমস্ত লক্ষণ দেখলে বোঝাই যাবে যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং অবিলম্বে সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন। শুরুতেই সঠিক চিকিৎসা না হলে জটিলতা বাড়তে পারে। শ্বসকষ্ট শুরু হতে পারে চোখের নিমেষে এবং তা বাড়তেও পারে মুহূর্তের মধ্যে। তাই অবহেলা না করে শরীর খারাপকে সবসময় গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় উল্লিখিত লক্ষণগুলির সঙ্গে দেখা দিতে পারে বুকে ব্যথার সমস্যা। এই লক্ষণ উদ্বেগের কারণ। অনেকে ভাবতেই পারেন হয়তো নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ার দরুণ বুকে ব্যথা অনুভব করছেন, তবে এই ধারণা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে বুকে ব্যথার কারণ কফ জমে যাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে বুকে। আপনি যত জোরে নিঃশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করবেন বুকে যন্ত্রণা ততটাই বৃদ্ধি পাবে। আর এই সবকিছুর মধ্যে মারাত্মক ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে কাশির সমস্যাও। এই জাতীয় সমস্যার একটিও লক্ষ্য করা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। অবহেলা করলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।


আরও পড়ুন- 'ক্র্যাশ ডায়েট' কেন করা উচিত নয়, খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসে অনিয়ম করলে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন আপনি?