হাইপোক্যালসিমিয়া- শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি (Calcium Deficiency) হলে ডাক্তারি পরিভাষায় তাকে এই নাম দেওয়া। রক্তে ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতি হলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে পারে। মহিলাদের শরীরে অবশ্য ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরুষদের তুলনায় বেশি লক্ষ্য করা যায়। কীভাবে বুঝবেন যে আপনার শরীর ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়েছে? এরকম হলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। এবার সেইসব লক্ষণ সম্পর্কেই পর্যালোচনা করে নেওয়া প্রয়োজন।


দীর্ঘদিন ধরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি- অনেকদিন ধরে যদি আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় তাহলে সমস্যা দেখা দেবে দাঁতে। চোখে বিশেষ করে ক্যাটারাক্টেও সমস্যায় হতে পারে। মস্তিষ্কের সক্রিয়তা কমে জটিল সমস্যা হতে পারে। এর পাশাপাশি হাড়ের ক্ষয় এবং তার জেরে অস্টিওপোরোসিস ও অসহ্য যন্ত্রণা উপরি পাওয়া। প্রাথমিক স্তরে অবশ্য সেভাবে কিছু বোঝা যায় না। তবে বিনা চিকিৎসায় থাকলে এক ঝটকায় আপনার শরীর মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। জীবন-মরণ সমস্যাও হতে পারে।


কেন ঘাটতি হয়- আপনার পেশী, হাড়ে এবং দাঁতের প্রভূত ক্ষতি হতে পারে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে। হাড় ক্ষয়ে যেতে পারে। ভঙ্গুর হতে পারে। দেখা দিতে পারে অস্টিওপেনিয়া বা হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা। সঠিক চিকিৎসা না হলে এই রোগই অস্টিওপোরোসিসে রূপান্তরিত হতে পারে। শুধু যে অপুষ্টি বা সঠিক খাওয়াদাওয়া না করলেই শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়, তা কিন্তু নয়। কিডনি বিকল হওয়া বা পাকস্থলীর অংশবিশেষ বাদ যাওয়া, বিশেষ কিছু ওষুধপত্রের প্রভাব--- এই সমস্ত কারণে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে পারে।


কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে- পেশীতে ক্র্যাম্প, প্রবল ক্লান্তি লাগা, দুর্বল থাকা, ইনসমনিয়া অর্থাৎ অনিদ্রা রোগ--- এই সবের পাশাপাশি দাঁত এবং নখের ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভঙ্গুর হয়ে যেয়ে পারে দাঁত এবং নখ। এছাড়াও নখের চারপাশের চামড়া রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। হেয়ার ফল বা অ্যালোপেশিয়া কিংবা এগজিমার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ত্বকের র‍্যাশ, জ্বালাপোড়াও হতে পারে। দেখা দিতে পারে মানসিক অবসাদও।


আরও পড়ুন- অকালে চুলে পাক ধরেছে? চুল ভাল রাখতে পাতে থাকুক কয়েকটি 'সুপার ফুড'