কলকাতা: বেগুন তো অনেকেই খান। কিন্তু সাদা বেগুন ? এরও কিন্তু কম গুণ নয়। বাজারে মাঝে মাঝেই সাদা বেগুন ওঠে। কিন্তু এর চাহিদা কম। বরং অনেকে বেগুনি বেগুনই খেতে বেশি পছন্দ করেন। গুণের বহরে সাদা বেগুন বেগুনি চেহারার থেকে কম কিছু যায় না। এর মধ্যে একটি দিকে যেমন বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে, তেমনই রয়েছে একাধিক রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। কী কী গুণ এই সাদা বেগুনের ? দেখে নেওয়া যাক বিশদে।


সাদা বেগুনের পুষ্টিগুণ


সাদা বেগুনে ডায়েটারি ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এছাড়াও, এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু খনিজ পদার্থ যেমন ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়াম রয়েছে। হার্ট থেকে হাড়ের একাধিক রোগে এই উপাদানগুলি বিশেষভাবে জরুরি। এছাড়াও, সাদা বেগুনে ভিটামিন এ, সি ও কে রয়েছে। পাশাপাশি নাইসিন ও ফোলেটের সমৃদ্ধ উৎস এই সবজি।


কেন খাবেন সাদা বেগুন ?


অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর - আর পাঁচটি সবজির এই বিশেষ গুণ বেগুনেও পাবেন। সাদা বেগুনের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেকটাই। এর ফলে শরীরে অক্সিডেটিভস স্ট্রেসের পরিমাণ কমে। যা কোশকে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বড় গুণ, এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বার করে দেয়।


হার্টের রোগ - হার্টের রোগের বড় সুরাহা সাদা বেগুন। এটি খেতে একটু কম তেতো। পাশাপাশি এর মধ্যে শাঁস বেশি। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের জন্য উপকারী। হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিওরের মতো রোগের আশঙ্কা দূর করে সাদা বেগুন।


কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় - এলডিএল কোলেস্টেরল হার্টের জন্য খারাপ। অন্যদিকে ট্রাইগ্লিসারাইডও হার্টের রোগ ডেকে আনে। নিয়মিত সাদা বেগুন খেলে এই দুই উপাদান শরীরে কমে যায়। এর ফলে হার্ট ভাল থাকে। কার্ডিয়োভাসকুলার ডিজিজের হার কমে।


সুগার নিয়ন্ত্রণ করে - রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে সাদা বেগুন। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এর ফাইবার খাবার হজম করার হার ঠিক রাখে। এতে ইনসুলিনের কার্যকারিতা ঠিক থাকে। ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়ে না।


ওজন কমাতেও উপকারী -  এর ফাইবারের গুণেই ওজন কমে দ্রুত। সাদা বেগুনের ডায়েটারি ফাইবার দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। এতে ঘন ঘন খিদে পায় না। ফলে বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। যা ওজন কমানোর পক্ষে সহায়ক।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - ডিম দিয়ে দাঁতের মাজন, গাছের সার; আর কী কী হয় বলুন তো