কলকাতা: ডিম আট থেকে আশি প্রায় সকলেই খেতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা না থাকলে চিকিৎসকরা এটি রোজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সহজ ও পুষ্টিকর প্রোটিনের উৎস হল ডিম। কিন্তু ডিম কি আর শুধু খেতে লাগে? এ দিয়ে অনেকে ফেসিয়াল করেন । ফেসপ্যাক বা ফেসমাস্ক হিসেবে দারুণ কাজে লাগে ডিমের সাদা অংশ। অনেকে আবার চুলের জন্যও ব্যবহার করেন এটি। চুল বৃদ্ধি ও ঘন করতে কাজে লাগে ডিম। তবে এর বাইরেও কিন্তু বেশ কিছু কাজে লাগে ডিম।
ঝকঝকে দাঁত - চুল আর মুখ তো হল, এবার তাহলে দাঁতের পালা। দাঁত সাফ করতে ডিমের খোলা দারুণ কাজ দেয়। এর মধ্যে ক্য়ালসিয়াম ছাড়াও আরও বেশ কিছু উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলি দাঁতের এনামেলের জন্য বিশেষ উপকারী। ডিমের খোলা প্রথমে গুঁড়িয়ে পাউডার করে নিন। এর পর এটি দিয়ে দাঁত মাজুন। অল্প দিনেই ফারাক নজরে পড়বে।
গাছের পরিচর্যা - ক্যালসিয়ামের গুণেই বাজিমাত করে ডিম। ডিমের খোলা ফেলে দেন ? তা না করে এটি গাছের গোড়ায় গুঁড়ো করে দিতে পারেন। দুর্দান্ত সারের কাজ করে।
চামড়ার দ্রব্য সাফ - চামড়ার দ্রব্য যেমন ব্যাগ, জুতোয় অনেক সময় ছাতা পরে যায়। এই ছাতা সাফ করতে ডিমই কিন্তু যথেষ্ট। একটি কাপড়ে ডিমের সাদা অংশ মাখিয়ে নিন। এবার চামড়ার উপর সেটি দিয়ে ঘষলেই সাফ হবে ময়লা। তাছাড়া ডিমের মধ্যে বেশ কিছু শক্তিশালি প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিন ছত্রাকের হাত থেকে ব্যাগ, জুতোকে বাঁচিয়ে রাখবে।
বাউন্সিং রাবার বল - বাড়িতে ছোট্ট সদস্য রয়েছে ? তার খেলনার জন্যও কাজে লাগতে পারে ডিম। কারণ একটু কায়দা জানলেই এটি দায়ে বাউন্সিং রাবার বল বানিয়ে ফেলা সম্ভব। একটি একটি পাত্রে কিছুটা ভিনিগার নিতে হবে। তার মধ্যে একটা সিদ্ধ ডিম ফেলে দিন। ঘরের উষ্ণতায় ওই পাত্র ঢাকা দিয়ে রাখুন। পাঁচ দিন এইভাবে রাখতে হবে। ভিনিগার ডিমের বাইরের ক্যালসিয়াম অংশটি গলিয়ে ফেলে। এতেই পুরো জিনিসটি রাবারের মতো হয়ে যায়। এটা গরম জলে ধুয়ে নিলেই তৈরি বাউন্সিং রাবার বল। খুদের স্কুলে সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট ক্লাস করাচ্ছে ? এটি বানিয়ে সহজেই শিক্ষককে তাক লাগানো যায় কিন্তু!
আরও পড়ুন - দই বড়া আলুর দম, জিভে জল আনা রেসিপি