কলকাতা: মাঙ্কি জ্বর বা ফিভার নিয়ে এবার সতর্কবার্তা জারি করল তামিলনাডু প্রশাসন। দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করা হয়েছে বনকর্মীদের। কর্ণাটক ও তামিলনাডুর বর্ডার অঞ্চল জুড়ে এই রোগ ছড়াচ্ছে। বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে সেখানে। ইতিমধ্যে এই গ্রামগুলির ১০৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এই সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা। সেই আশঙ্কা দূর করতেই এবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল তামিল নাডুর স্বাস্থ্য প্রশাসন।


আক্রান্তরা হাসপাতালে


প্রসঙ্গত, মাঙ্কি জ্বর ক্যাসানুর ফরেস্ট ডিজিজ নামেও পরিচিত। এখনও পর্যন্ত ১০৩ জন আক্রান্ত হলেও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের উত্তর কন্নড়ের শিবমোগ্গা ও চিকমাগালুর জেলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


আইসিএমআর-এর গবেষণা


সম্প্রতি আইসিএমআর ও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি যৌথভাবে একটি গবেষণা করে। তাতেই ধরা পড়েছে এই রোগের কথা। তামিলনাডু সীমান্তবর্তী কর্ণাটকের মাইসোর ও হাসান জেলায় এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এর জেরে ওই অঞ্চলগুলিতে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। বর্ডার অঞ্চলে সতর্ক প্রহরায় রয়েছে স্বাস্থ্য ও বন বিভাগের কর্মীরা। 


প্রসঙ্গত, মাঙ্কি জ্বর একটি মরসুমি জ্বর। মূলত শুষ্ক আবহাওয়ার সময় এই রোগ ছড়ায় বেশি। বনকর্মী ও বনরক্ষীরাই মূলত এই রোগের কবলে পড়তে পারেন। কারণ তাদের সেখানে রোজ ছয় ঘন্টার দায়িত্ব পালন করতে হয়। শুষ্ক আবহাওয়াতে দাবানলের ঘটনা বেড়ে যায় প্রতি বছরই। চলতি বছরেও যা সামলাতে বনকর্মীদেরই দায়িত্ব নিতে হবে আর সেই করতে গিয়েই পোকার কামড় থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা। প্রসঙ্গত, ছয় বছর পর পর এই জ্বরের জন্য টীকা দেওয়া হয়েছিল কর্মীদের। কিন্তু কোভিডের পর তা বন্ধ হয়ে যায়।


মাঙ্কি জ্বরের উপসর্গ ও চিকিৎসা


মাঙ্কি জ্বরে ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড ৩ থেকে ৮ দিন। অর্থাৎ এই কয়েকদিন শরীরে প্রবেশ করলেও কোনও লক্ষণ ফুটে ওঠে না। এর পর থেকে কাঁপুনি, মাথা ধরা, মাথা ঘোরার মতো লক্ষণগুলি দেখা দিতে থাকে। প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর বমি, পেটের সমস্যা ও রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। রোগটি হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সেখানেও উপসর্গের ভিত্তিতে চিকিৎসা চলে রোগীর। 


আরও পড়ুন - Grey hair Myth: চুল একবার পাকলে স্বাভাবিক কালো রং ফেরানো যায় ?