কলকাতা: স্ট্রেস, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, কম ঘুম। বিভিন্ন কারণে প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। সাম্প্রতিক কালে জীবনযাত্রার কারণে যে যে রোগ শরীরে বাসা বাঁধছে তার মধ্যে অন্যতম হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ সংক্রান্ত সমস্যা। অনিয়ন্ত্রিক রক্তচাপ আরও একাধিক রোগ ডেকে আনে। হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত রোগ থেকে কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা, সবকিছুর সঙ্গেই যোগ রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের (high blood pressure)। 


বিপদ কোথায়?
কার্ডিওভাস্কুলার (Cardiovascular) রোগ বা হৃদযন্ত্রের যেকোনও সমস্যার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে হাইপারটেনশনের (hypertension)। হাইপারটেনশনের কারণে স্ট্রোক (stroke), হার্ট অ্যাটাক (heart attack) বা এই ধরনের রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। কারও আগে থেকেই হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ বিপদ বাড়িয়ে দিতে পারে। 


প্রথম থেকেই এর উপর কড়া খেয়াল না রাখলে, ডেকে আনতে পারে বড়সড় বিপদ। সেই কারণেই উপসর্গের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। অন্য রোগের মতো সেই অর্থে একেবারে চোখে পড়ার মতো উপসর্গ দেখা যায় না উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে। কিন্তু প্রতিদিনের জীবনে কিছু কিছু সমস্যা চোখে পড়ে।


কী দেখে সতর্ক হবেন? 


সকালে মাথাব্যথা:
অনেকসময় কম ঘুম হলে মাথা ব্যথা করে। চোখের সমস্যার কারণেও করে থাকে। কিন্তু প্রায়শই ঘুম থেকে উঠে যদি মাথা ব্যথার সমস্যা হয়। তাহলে সতর্ক হওয়া উচিত। এটা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। 


নাক থেকে রক্তপাত:
হাইপারটেনশনকে সাইলেন্ট কিলার (Silent Killer) বলা হয়ে থাকে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে নাক দিয়ে রক্ত (Nosebleeding) পড়ে। যদি প্রায়শই এমন ঘটে। তাহলে দ্রত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এমন ঘটনা ঘটলে অত্যন্ত দ্রুত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ শুরু করতে হবে।


শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা:
শ্বাসকষ্ট, ভারী কাজ করলে শ্বাস নিতে সমস্যা-এরকম ঘটনা ঘটলে সতর্ক হন এখনই। এসবই হাইপারটেনশনের কারণে হতে পারে। 


অনিয়মিত হার্টবিট:
অ্যরিথমিয়া (Arrhythmia) বা অনিয়মিত হার্টবিট উচ্চ রক্তচাপের কারণে হয়ে থাকে। রক্তচাপের হেরফের হলে ধমনীর দেওয়ালে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সময় ধাক্কা মারে রক্ত। 


প্রস্রাবে রক্ত:
হাইপারটেনশন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে, প্রস্রাবেও রক্ত বেরোতে পারে। তবে প্রস্রাবে রক্ত আরও একাধিক রোগের উপসর্গ। ফলে এমন ঘটনা হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত? খাবার বাছাইয়ে রাখুন কড়া নজর