আজ World Kidney Day। নিজের কিডনি ভাল রাখার জন্য কিন্তু প্রত্যেকদিন আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। একটু অসতর্ক হলেই বিপদ। হয়তো সঙ্গে সঙ্গে আপনি বুঝতে পারবেন না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। আর কিডনি বিকল হয়ে গেলে তার চিকিৎসা যেমন কষ্টসাধ্য তেমনই খরচও প্রচুর। সর্বোপরি কিডনি বিকল হওয়া এবং তার পরে ডায়ালিসিস চালু হলে এক অসহনীয় যন্ত্রণা সইতে হয় রোগীকে। 


আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এমন কিছু অভ্যাস যা কিডনি ধীরে ধীরে বিকল করে দেয়। হয়তো নিজেদের অজান্তেই আমরা প্রতিদিন এইসব কাজ করে ফেলে। এদিকে বুঝতেও পারি না ঠিক কী কী সমস্যা শরীরে দেখা দিচ্ছে। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক আমাদের রোজনামচার কোন কোন অভ্যাস ক্রমশ কিডনিকে বিকল হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়।


মুঠো মুঠো পেনকিলার- অনেকেই আছেন অল্প ব্যথাতেই কাতর হয়ে যান। সামান্য ব্যথা বেদনা হলেই খেয়ে নেন পেনকিলার। এই অভ্যাস একেবারেই ত্যাগ করা উচিত। কারণ মুঠো মুঠো পেনকিলার খেলে অবশ্যই আপনার কিডনি অকালে বিকল হবে। 


নুন এবং চিনি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া- অনেকেই চায়ে বেশি চিনি এবং খাবারের পাতে কাঁচা নুন খান। এই অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি এবং নুন খাওয়া হলে তা মারাত্মক ভাবে কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


কম জল খাওয়া- অনেকেরই কম জল খাওয়ার অভ্যাস থাকে। অবিলম্বে এই বদভ্যাস ত্যাগ করুন। কম জল খেলে কিডনির ক্ষতি হবেই। তাই প্রয়োজনে মেপে জল খান। কিন্তু পরিমিত জল খাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। 


পর্যাপ্ত ঘুম- দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, তার প্রভাবও পড়ে কিডনির উপর। তাই রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।  


ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন- এই দুই অভ্যাসই আপনার কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। অর্থাৎ ধূমপান এবং মদ্যপান অতিরিক্ত মাত্রায় করলে কিডনির ক্ষতি হতে বেশি সময় লাগবে না। অতএব এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। 


শরীরচর্চা না করা- সুস্থ সবল থাকতে হলে নিয়মিত শরীরচর্চা করা দরকার। এই অভ্যাস আপনার কিডনিকেও সুস্থ এবং সচল রাখবে। তাই প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট হলেও শরীরচর্চা করুন।


অতিরিক্ত মাংস এবং প্রসেসড খাবার খাওয়া- প্রচুর পরিমাণে মাংস এবং প্রসেসড খাবার খেলেও অকালেই আপনার কিডনি খারাপ হয়ে যাবে। তাই নিজের খাবারের অভ্যাস বদল করুন।


আরও পড়ুন- হোলিকা দহন বা ন্যাড়াপোড়া কেন আয়োজন করা হয়? এর কি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে?