World Laughter Day 2024: বিশ্ব হাসি দিবস প্রতি বছর মে মাসের প্রথম রবিবার পালন করা হয়। ভারত থেকেই এই দিনটির শুরুয়াৎ। শুধুমাত্র হাসির জন্য একটি দিন বরাদ্দ করার বেশ কিছু কারণ রয়েছে অবশ্য। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শারীরিক স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। কীভাবে শুরু হল বিশ্ব হাসি দিবসের ? কেমন ছিল দিনটির গোড়ার কথা ? আর কেনই বা এই দিনটি পালন করা হয় ? জেনে নেওয়া যাক একে একে।


কীভাবে শুরু বিশ্ব হাসি দিবসের ?


হাসির ব্যায়াম অনেকের কাছেই পরিচিত। বিশ্ব হাসি দিবসের সূচনা সেখান থেকেই। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এই দিনটির নেপথ্যে ছিলেন ভারতের একজন চিকিৎসক। তাঁর নাম মদন কাটারিয়া। তিনিই প্রথম এই দিনটির পরিকল্পনা করেন। 


পেশায় পারিবারিক চিকিৎসক মদন কাটারিয়া তাঁর রোগীদের হাসির ব্যায়াম নিয়মিত করতে পরামর্শ দিতেন। কারণ বেশ কিছু রোগ প্রতিরোধে হাসির বড় ভূমিকা রয়েছে। সেখান থেকেই হাসির জন্য একটি বিশ্ব দিবসের ভাবনা আসে। এই ভাবনাকে রূপায়িত করা হয় ১৯৯৮ সালে।তখন থেকেই প্রতি বছর বিশ্ব হাসি দিবস মে মাসের প্রথম রবিবার পালন করা হচ্ছে। বর্তমানে লাফটার যোগা বিশ্বের ১১৫টিরও বেশি দেশের বিখ্যাত ব্যায়াম।


নিয়ম করে রোজ হাসির কী কী উপকার ?


নিয়ম করে রোজ হাসলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। শরীরের পাশাপাশি মনেরও উপকার।



  • মনখারাপ কাটানোর সেরা উপায় হাসি। রোজ নিয়ম করে হাসলে মন ভাল থাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও।

  • রক্তচাপ কমানোর পিছনেও এর বড় ভূমিকা রয়েছে। নিয়ম করে হাসলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নাজেহাল করে না।

  • সারাদিন কাজের জেরে মন ও শরীরের  উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এই মানসিক চাপ কাটাতে সাহায্য করে হাসি। স্ট্রেসের বড় ওষুধ কিন্তু প্রাণখোলা হাসি।

  • নিয়মিত হাসলে শরীরের রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকে। রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকলে মেটাবলিজমও উন্নত হয়।

  • ক্যালোরি বার্ন করতেও সাহায্য করে হাসি। রোজ ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাসলে ৪০ ক্যালোরি ঝরানো যায়। পরিমাণ কম হলেও হাসির অন্য উপকারগুলি ধরলে অনেকটাই লাভ এতে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন -  Asthma Effects On Mouth: অ্যাজ়মার কারণে ক্ষয়ে যাচ্ছে দাঁত-মাড়ি ? কী করবেন ?