কলকাতা: প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষ রবিবার পালন করা হয় বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস। সেই হিসেবে চলতি বছর ২৮ জানুয়ারি এই দিনটি উদযাপিত হয়েছে সারা বিশ্বে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, ভারতে এই দিন প্রতি বছর ৩০ জানুয়ারি উদযাপন করা হয়। প্রসঙ্গত, ওই তারিখেই হত্যা করা হয় ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে।
কুষ্ঠ রোগটি নিয়ে সচেতনতা প্রচার করতেই এই বিশেষ দিনটির উদযাপন করা হয় বিশ্ব জুড়ে। কুষ্ঠ রোগটি হানসেনস ডিজিজ নামেও পরিচিত। মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপ্রি নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে কুষ্ঠ হয়।
বিশ্ব কুষ্ঠ দিবসের ইতিহাস
দিনটির শুরু ১৯৫৪ সাল থেকে। এই দিন ফরাসি সাংবাদিক রাউল ফলেরুর হাত ধরে শুরু হয় বিশ্ব কুষ্ঠ দিবসের উদযাপন। কুষ্ঠ রোগটি নিয়ে এখনও মানুষের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। রোগটি নিয়ে সচেতনতা প্রচার করতেই এই দিনটি পালন করা হয়। পাশাপাশি, কুষ্ঠের উপলব্ধ চিকিৎসা নিয়েও সচেতনতা কর্মসূচী চলে। ভারতে এই দিনটি ৩০ তারিখ পালন করার একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। মহাত্মা গান্ধী কুষ্ঠ রোগীদের প্রতি বিশেষভাবে সংবেদনশীল ছিলেন। তাই তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীর দিনই এই দিবসটির উদযাপন করা হয়।
বিশ্ব কুষ্ঠ দিবসের ভাবনা
প্রতি বছরই এই দিনটি পালন করার জন্য একটি বিশেষ ভাবনা বা থিম ঠিক করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই থিমটি নির্বাচন করা হয়। চলতি বছরেও তেমনই এক থিমের ভিত্তিতে পালন করা হবে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস। ২০২৪ সালে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবসের থিম হল ‘বিট লেপ্রোসি’ অর্থাৎ কুষ্ঠকে জয় করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অফিসিয়াল সাইটে এই নিয়ে কিছু কথাও লেখা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই রোগ নিয়ে মানুষের মনের ভ্রান্ত ধারণা কাটানোই দিনটির মূল উদ্দেশ্য। এই ব্যাকেটেরিয়ার সংক্রমণ সহজেই সেরে যায়। তা জানাতেই বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস উদযাপন।
কুষ্ঠ রোগটি আদতে কী ?
- মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপ্রি নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার জন্য এই রোগটি হয়ে থাকে।
- এটি মূলত ত্বক ও স্নায়ুর একট রোগ। এই রোগে ত্বক সাদা খসখসে হয়ে যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে লাল চাকের মতোও হতে পারে।
- দ্রুত চোখের পাতা ও ভুরুর লোম খসে যেতে থাকে।
- হাত বা পা প্যারালিসিস হয়ে যায় এই রোগে। চোখের দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে যেতে পারে।
তবে এখন কুষ্ঠ রোগ চিকিৎসা করে সারিয়ে তোলা সম্ভব। কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন - Kiwi Fruit Benefits: মনখারাপ, অবসাদে ভুগছেন ? মাত্র ৪ দিনে ফুরফুরে হবেন ! খেতে হবে এই ফলটা