কলকাতা: সাম্প্রতিক কালে বিশেষজ্ঞরা বারবার লাইস্টাইল ডিজিজ নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন। যার মধ্য়ে রয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো শারীরিক সমস্যা। যা থেকে হার্টের নানা রোগের প্রকোপও বাড়ে। এরই মধ্যে চেনা বৃত্তে বারবার শোনা যায় স্ট্রোক কথাটি। যা একাধিক সময়ে মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকে।


ব্রেন স্ট্রোকের ঘটনাও প্রায়শই শোনা যায়। এটি প্রাণঘাতী ঠিকই। কিন্তু সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারেন রোগী। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, ব্রেন স্ট্রোক হলে কয়েক সেকেন্ড সময়ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলে অনেক ক্ষতি সহজেই এড়ানো যায়। 


স্ট্রোকের বিপদ এবং আগেভাগেই সতর্ক হওয়ার বার্তা দিতে একটি গোটা দিন সচেতনতার জন্য ধার্য করা হয়েছে। ২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস (World Stroke Day) হিসেবে পালন করা হয়।  


কীভাবে সতর্ক হওয়া যাবে?
যদি কখনও মনে হয় দেহের ভারসাম্য নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। হঠাৎ ভারসাম্য রাখতে না পারলে। নিজে থেকে হাঁটতে না পারলে তা ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষ্মণ হতে পারে। মুখের অভিব্যক্তি বা মুখমন্ডলের হঠাৎ পরিবর্তন হলে, মুখের কোনও অংশ বা ঠোঁট বেঁকে গেলে অথবা মুখমণ্ডলের কোনও অংশের সাড় হঠাৎ না পেতে থাকলে তখনই সতর্ক হন। কথা বলার সমস্যা হলে, জিভ অসাড় লাগলে, কথা জড়িয়ে গেলে তা ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষ্মণ হতে পারে। এগুলির মধ্যে কোনও একটা হলেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।


ব্রেন স্ট্রোকের ক্ষেত্রে মস্তিকের কোষ দ্রুতহারে ধ্বংস হতে থাকে। যে কারণেই ওই সমস্যাগুলি হতে পারে। স্ট্রোক হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে চিকিৎসা শুরু হলে, আপৎকালীন ওষুধ ও ব্যবস্থার মাধ্যমে মস্তিষ্কের সেই ক্ষতি ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়। এই কাজেই দেরি হয়ে গেলে এবং মস্তিষ্কের কোষের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান। সারা জীবনের মতো শয্যাশায়ীও করে দিতে পারে।


আগেভাগেই খেয়াল:
বেশ কিছু দিকে খেয়াল রাখলে স্ট্রোকের মতো বিপদ রোখা যেতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়তে দেওয়া যাবে না। এছাড়া ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখা, উদ্বেগ না করাও গুরুত্বপূর্ণ। 


ডায়েটে নজর:
দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এবং খাওয়ার উপর স্ট্রোকের বিপদের মাত্রা নির্ভর করে। অতিরিক্ত ফাস্টফুড, ভাজাজাতীয় খাবার, কার্বোনেটেড সফট ড্রিঙ্ক কোলেস্টেরল, ফ্যাট, সুগার ও রক্তচাপ বৃদ্ধি করে, যা স্ট্রোক ঘটাতে পারে।
  
ঠান্ডা-গরমে নজর:
আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। ঠান্ডার অভ্যাস না থাকলে, ঠান্ডা পড়লে হঠাৎ স্নান করে নেওয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে। ঠান্ডা জায়গায় গিয়ে হঠাৎ ঠান্ডা জলে স্নান করা, হঠাৎ করে মাথায় খুব ঠান্ডা জল ঢেলে দেওয়ার বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন:  সূর্য না কি স্মাইলি? 'হাসিমুখে'র পিছনে লুকিয়ে বিপদ!