কলকাতা: শুক্রবার সারা বিশ্বে পালিত হল বিশ্ব জল দিবস (World Water day 2024)। প্রতি বছর ২২ মার্চ এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। এই দিনটি সারা বিশ্বে জলেরগুরুত্ব নিয়ে সচেতনতা প্রচারের দিন। গোটা বিশ্বে জলের পরিমাণ সীমিত এর মধ্যে সাধু জলের পরিমাণ একেবারেই সামান্য। মোট জনসম্পদে 97.2 শতাংশই হচ্ছে নোনা জল অর্থাৎ পানের অযোগ্য। অন্যদিকে মাত্র ১.২ শতাংশ জল পানের যোগ্য। এই জলের পরিমাণই বর্তমানে কমে আসছে। যেটুকু জল পানের যোগ্য, তার মধ্য়েও শুরু হয়েছে দূষণ। কলকারখানার আবর্জনা, মনুষ্যসৃষ্ট রোজকার বর্জ্য পদার্থ ইত্যাদি পানের জলে মিশছে। এর ফলে পানযোগ্য জলকে অযোগ্য করে তুলছে। মোট পানযোগ্য জলসম্পদের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
পান ছাড়াও আরও বহু কাজ
জল পান করা ছাড়াও আরও বেশ কিছু কাজে প্রয়োজন হয়। এই তালিকায় যেমন কাপড় কাচা বাসন ধোয়া রয়েছে, তেমনই স্নানসহ নানা কাজ রয়েছে। এর ফলেই জলের চাহিদা বাড়ছে। সম্প্রতি জলসঙ্কট প্রকট হতে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। যেমন বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে জলসঙ্কট তীব্র। পানযোগ্য ও রোজকার কাজ করার জন্য় জরুরি জলের অভাবে ভুগছে তথ্যপ্রযুক্তির শহর।
জলের ভূমিকা
- গোটা বিশ্বের তাপমান নিয়ন্ত্রণ করে জল। তাই জলের পরিমাণ কমে গেলে তাপমাত্রারও হেরফের হবে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। বর্তমানে ঠিক তেমনটাই হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে একাধিক গবেষণায়।
- সারা বিশ্বে জলের পরিমাণ সীমিত। না কমেছে না বেড়েছে। এর বড় প্রমাণ বিভিন্ন সময়ে জলের পরিমাণ। পৃথিবীর জন্মলগ্নের সময় গোটা বিশ্বে জলের পরিমাণ যা ছিল, আজও তা-ই রয়েছে। অর্থাৎ একটা সময় আমাদের পূর্বপুরুষ ও ডাইনোসররা যেই জল খেয়ে প্রাণধারণ করেছে, সেই একই জল আমরাও খাচ্ছি।
রাষ্ট্রসংঘের ২০২৪ সালের থিম
প্রতি বছরই কিছু না কিছু থিম নির্বাচন করা হয় বিশ্ব জল দিবস পালনের জন্য। চলতি বছর এই দিনটির থিম হল ‘ওয়াটার ফর পিস অর্থাৎ শান্তির জন্য জল’। জলসম্পদের পরিমাণ কমতে থাকলে বিশ্ব রাজনীতির ভারসাম্য টলে যেতে পারে। শুধু জল নিয়েই অশান্তি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই ঝুঁকি কমাতেই জল সংরক্ষণের অনুরোধ জানাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ। চলতি বছর সেই সংকল্পেই পালন করা হল বিশ্ব জল দিবস।