Hibiscus Tea: চায়ের (Tea) ব্যাপারে যাঁরা খুব শৌখিন তাঁরা বিভিন্ন ধরনের চা নিয়ে হামেশাই পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন। শুধুমাত্রা স্বাদ নয়, এইসব ভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য গুণ। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আপনার রূপের খেয়াল রাখতেও সাহায্য করে এইসব চা। তার মধ্যেই অন্যতম হল হিবিসকাস টি (Hibiscus Tea) (জবাফুলের চা)। যাঁরা কড়া ডায়েটে থাকেন, তাঁদের কাছে এই পানীয় বড়ই প্রিয়। কারণ এই হিবিসকাস টি (Hibiscus Tea) অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তবে শুধুমাত্র ওজন কমানোই এর গুণ নয়। এই বিশেষ ধরনের চায়ের মধ্যে রয়েছে আরও অনেক গুণ। সেগুলো কী কী দেখে নিন।

Continues below advertisement

হার্ট বা হৃদযন্ত্র- বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে হার্ট বা হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে হিবিসকাস টি। নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ। The Journal of Nutrition- এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে হাইপারটেনশনে যাঁরা ভোগেন সেই প্রাপ্তবয়স্করা যদি দিনে তিনকাপ করে হিবিসকাস চা পান করেন এবং ছয় সপ্তাহ ধরে এই নিয়ম বজায় রাখেন তাহলে তাঁদের রক্তচাপ কমে যাবে বা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।  

তবে এই চায়ের রয়েছে অনেক সাইড-এফেক্ট (Side Effects) বা অপকারিতাও। সেগুলোর দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।

Continues below advertisement

  • নিয়মিত ভাবে এই হিবিসকাস টি পান করলে পেটে ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, গা-গোলানো বা বমি ভাব, মাথা ব্যথা ও আরও অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কোনও কিছুরই বাড়াবাড়ি করা ভাল নয়। একটানা অনেকদিন এই চা পান না করাই স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গলের।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে হিবিসকাস টি পান করলে আপনার ব্লাড প্রেশার বা মেদ কমার পাশপাশি হয়তো ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে। এমনকি সোডিয়াম, পটাসিয়ামের ঘাটতিও হতে পারে। আর এর ফলে এক ধাক্কায় মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন আপনি।
  • এই চা নিয়মিত ভাবে পান করলে আপনি শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারেন। মাথায় ঝিম ধরা ভাব, মাথা যন্ত্রণা এবং মাথা ঘোরানোর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অনেকসময়ে এই চায়ের প্রভাবে শরীরে অনেক ওষুধ ঠিকভাবে কাজ করতে চায় না। এমন তথ্যও প্রকাশ্যে এসেছে বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে। তাই যাঁরা নিয়মিত ভাবে হিবিসকাস টি পান করছেন, তাঁরা সময় থাকতে সতর্ক হয়ে যান। অতিরিক্ত পরিমাণে এই চা পান করে অজান্তেই নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।

আরও পড়ুন- ৫০- এর পর জীবনশৈলীতে আনুন এই পরিবর্তনগুলি