Rare Bombay Blood Group: বিরলের মধ্যে অন্যতম বলা যায় এই রক্তের গ্রুপটিকে। নাম বম্বে ব্লাড গ্রুপ। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি তাঁর সেই গ্রুপের রক্ত দিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ। সেখানে ৩০ বছর বয়সি এক তরুণীর প্রয়োজন ছিল রক্তের। কিন্তু তার যা রক্ত তা পাওয়া বেশ মুশকিল। এই অবস্থায় রক্ত চেয়ে বিজ্ঞাপন দিতে হয়। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই এগিয়ে আসেন মহারাষ্ট্রের এক ফুল ব্যবসায়ী। তাঁর দেওয়া রক্তেই প্রাণ ফিরে পান ওই তরুণী।
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্র আস্তকর ফুলের হোলসেল ব্যবসায়ী। ৩৬ বছর বয়সি এই যুবক শিরডিতে তাঁর ব্যবসার দেখভাল করেন। এই দিন ৩০ বছরের ওই তরুণীকে রক্ত দিতে তিনি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে আসেন। ২৫ মে সেখানে পৌঁছে তরুণীকে রক্ত দেন তিনি। ইন্দোরের একটি হাসপাতালের ভর্তি ছিলেন তরুণী।
কেন বিরল বম্বে ব্লাড গ্রুপ
বম্বে ব্লাড গ্রুপ আদতে একটি বিরল রক্তের গ্রুপ যার টাইপ ও, এ, বি বা এবি কারও সঙ্গেই মেলে না। বরং বিজ্ঞানীরা একে hh বলে চিহ্নিত করেন। বম্বেতে প্রথম এই ব্লাড গ্রুপটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ১৯৫২ সালে খোঁজ পাওয়া ওই ব্লাড গ্রুপকেই বম্বে ব্লাড গ্রুপ বলা হয়।
প্রসঙ্গত, এই রক্তটির মধ্য এইচ অ্যান্টিজেন নেই। বরং অ্যান্টি এইচ-এর অ্যান্টিবডি রয়েছে। এইচ অ্যান্টিজেন নেই বলে এটি প্রাথমিকভাবে ও ব্লাড গ্রুপের মতো আচরণ করে। কিন্তু ক্রস ম্যাচ অর্থাৎ সূক্ষ্ম তুলনা করে দেখলে দেখা যায় ও ব্লাড গ্রুপের থেকে এটি আলাদা।
সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে এই দিন রবীন্দ্র বলেন, ওই তরুণীর বিরল ব্লাড গ্রুপের কথা তিনি জানতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপে। এর পরই এক বন্ধুর গাড়ি করে বেরিয়ে পড়েন তিনি। শিরডি থেকে ইন্দোরের দূরত্ব ৪৪০ কিমি। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছান রবীন্দ্র। রবীন্দ্র এই দিন সংবাদমাধ্যমকে নিজের অনুভূতির কথাও জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, একজনের বিপদে তাঁর পাশে থাকতে পেরে বেশ ভাল লাগছে তাঁর।
রবীন্দ্র মাঝে মাঝেই রক্তদান করে থাকেন। তাঁর গত দিনগুলির কথা তিনি এই দিন বলেন সংবাদমাধ্যমে। তিনি এমন রোগীদের মোট আটবার রক্তদান করেছেন। যেহেতু এই রক্তের গ্রুপটি বিরল, তাই নিজের প্রয়োজনীয়তাও বুঝতে পারেন রবীন্দ্র।
আরও পড়ুন - Water dripping From AC: AC ইনডোর ইউনিট থেকে জল পড়ছে? কেন হয়? কী করবেন
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।