Live Updates: বিজেপিকে অসমের ইতিহাস, পরিচয়, সংস্কৃতি ও ভাষা ধ্বংস করতে দেবে না কংগ্রেস, গুয়াহাটির জনসভায় রাহুল
‘প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন’, এই মন্তব্যেরও পুনরাবৃত্তি করেছেন রাহুল। বিজেপি তাঁর দাবি ‘মিথ্যা’ বলে খারিজ করলেও রাহুল আবারও দেশে ডিটেনশন সেন্টার থাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অসত্য বলছেন বলে অভিযোগ করেন। বিজেপি তাঁকে ‘বছরের সেরা মিথ্যাবাদী’ বলেছে। এ নিয়ে আজ তাঁর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে রাহুল সাংবাদিকদের বলেন, আমি একটা ভিডিও ট্যুইট করেছি যাতে নরেন্দ্র মোদি বলছেন, ভারতে কোনও ডিটেনশন সেন্টারই নেই। আর একই ভিডিওতে একটা ডিটেনশন সেন্টারের ছবি রয়েছে। সুতরাং আপনারাই ঠিক করুন, কে মিথ্যা বলছে?
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
28 Dec 2019 07:51 PM
শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পরে প্রিয়ঙ্কা বলেন, দারাপুরিজির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় আমায় বাধা দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এক মহিলা পুলিশকর্মী হেনস্থা করেছেন আমায়। এক দলীয় কর্মীর টু-হুইলারে চেপে যাচ্ছিলাম, ওরা ঘিরে ধরে আমায়। তারপর সেখান থেকে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাই।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে জেলবন্দি কংগ্রেস নেতা সাদাফ জাফরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি সাদাফের বাড়ি যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর রাস্তা আটকানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আমাদের রাস্তায় থামিয়ে কোনও লাভ হবে না। এটা এসপিজি ইস্যু নয়, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ব্যাপার। আজ মেরঠের এক পুলিশকর্তার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরোধীদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভের সময় ‘পাকিস্তান চলে যাও’ মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর প্রিয়ঙ্কা অভিযোগ করেন, বিজেপি ‘সব প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রদায়িকীকরণ করছে’। এমনকী উত্তরপ্রদেশের অন্য বিরোধী দলগুলি এই আইনের বিরোধিতায় তেমন কিছু করছে না বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একলা চলতে বাধ্য হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন প্রিয়ঙ্কা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে প্রাণ হারানো স্যাম স্ট্যাফোর্ডের বাড়ি গিয়ে তার পরিবারকে সমবেদনা জানান রাহুল।
রাহুল বলেন, অসমে যুবকরা প্রতিবাদ করছেন, অন্যান্য রাজ্যেও প্রতিবাদ হচ্ছে। কেন গুলি করে মারতে হবে ওদের? বিজেপি মানুষের কথা শুনতে চায় না।
অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী প্রতিবাদে যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত দুই নাবালকের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানান রাহুল।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতি ইঙ্গিত করে কেন্দ্র, রাজ্যের বিজেপি সরকারের নীতির জন্য অসম ফের হিংসার রাস্তায় ফিরতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন রাহুল। বলেন, ঘৃণা ও হিংসার পথে অসমের কোনওদিনই সমৃদ্ধি হতে পারে না। প্রত্যেককে জোট বেধে বিজেপি নেতাদের বলতে হবে, তারা রাজ্যের সংস্কৃতি, পরিচিতি, ইতিহাসকে আঘাত করতে পারবে না।
গুয়াহাটির জনসভায় তাঁর দল বিজেপি, আরএসএসকে অসমের নিয়ন্ত্রণ নিতে, কব্জা করতে দেবে না বলে জানিয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা বলেন, ভয় হচ্ছে, বিজেপির নানা নীতির জন্য অসম হিংসার রাস্তায় ফিরছে। বিজেপি যেখানেই যায়, সেখানে ঘৃণা ছড়ায় বলেও অভিযোগ করেন রাহুল। কংগ্রেস গেরুয়া দলতে অসমের ইতিহাস, পরিচয়, সংস্কৃতি ও ভাষা ধ্বংস করতে দেবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) হওয়ার জেরে চলতি মাসের গোড়ায় হিংসা, অশান্তির আগুনে জ্বলে ওঠা অসমে আজই প্রথম সভা করলেন রাহুল। তিনি বলেন, অসম চুক্তির চেতনাকে নষ্ট করা উচিত নয়। রাজ্যে শান্তি এনেছিল ওই চুক্তি। অসম কব্জা করতে দেব না বিজেপি, আরএসএসকে। সেটা হতে দেব না। অসমের মানুষেরই রাজ্যে ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জী (এনপিআর), জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) ২০১৬-র নোটবন্দির সিদ্ধান্তের চেয়েও খারাপ পদক্ষেপ, আরও বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে দাবি রাহুল গাঁধীর। শনিবার এখানে কংগ্রেসের ১৩৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে এআইসিসি দপ্তরে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের ফাঁকে রাহুল বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন এনপিআর, এনআরসি ইস্যুতে। বলেন, এইসব উদ্যোগের মূল লক্ষ্য গরিব মানুষকে জানাতে বলা, তাঁরা ভারতীয় কিনা।
পাশাপাশি রাহুল কেন্দ্রের সরকার ‘১৫ জন পছন্দের পুঁজিপতি’র স্বার্থে চলছে, এই অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ওনার (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি)১৫ বন্ধুকে কোনও কাগজপত্র দেখাতে হবে না। যে টাকা তৈরি হবে, সবটাই ওই ১৫ জনের পকেটে যাবে। এতে বিমুদ্রাকরণের তুলনায় অনেক বেশি বিপদ, বিপর্যয় হবে জনগণের। নোট বাতিলের দ্বিগুণ প্রভাব পড়বে এর।
এছাড়া, ‘প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন’, এই মন্তব্যেরও পুনরাবৃত্তি করেছেন রাহুল। বিজেপি তাঁর দাবি ‘মিথ্যা’ বলে খারিজ করলেও রাহুল আবারও দেশে ডিটেনশন সেন্টার থাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অসত্য বলছেন বলে অভিযোগ করেন। বিজেপি তাঁকে ‘বছরের সেরা মিথ্যাবাদী’ বলেছে। এ নিয়ে আজ তাঁর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে রাহুল সাংবাদিকদের বলেন, আমি একটা ভিডিও ট্যুইট করেছি যাতে নরেন্দ্র মোদি বলছেন, ভারতে কোনও ডিটেনশন সেন্টারই নেই। আর একই ভিডিওতে একটা ডিটেনশন সেন্টারের ছবি রয়েছে। সুতরাং আপনারাই ঠিক করুন, কে মিথ্যা বলছে? রাহুল ভিডিওর শিরোনাম দিয়েছেন, ‘আরএসএসের প্রধানমন্ত্রী ভারতমাতাকে মিথ্যা বলছেন’।
গত রবিবারই নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানের জনসভায় মোদি ‘ভারতে কোথাও কোনও ডিটেনশন সেন্টার নেই, একজনও ভারতীয় মুসলিমকে সেখানে পাঠানো হবে না’ বলে জানিয়ে দেন।
রাহুলের কটাক্ষের পরই জবাবে বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র তাঁকে ‘মিথ্যাবাদীদের চিফটেন’ বলেন। বিজেপিও দাবি করে, কংগ্রেস ডিটেনশন সেন্টার বানানো নিয়ে মিথ্যা, ভুল প্রচার চালাচ্ছে।