নয়াদিল্লি : অশীতিপর বৃদ্ধের বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ( Supreme Court )। ছয় দশকের দাম্পত্যে (divorce) ইতি টানতে চেয়েছিলেন তিনি। অবশ্য বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন তিনি করেছিলেন ২৭ বছর আগেই।
সমীক্ষা বলছে, ভারতে এখনও ডিভোর্স নিয়ে বহু দ্বিধাদ্বন্দ্ব। তাই এখনও দেশে ১০০ টি বিয়ের মধ্যে একটি বিয়ে ভাঙে। অনেক সময়ই পরিবার, সামাজিক চাপের দরুণ অসুখী দাম্পত্যও বয়ে নিয়ে চলেন অনেকে। যে কোনও বিয়ের ইতি টানতে গেলেই আইনের দ্বারস্থ হতে হয়। আদালত অনুমতি দিলে তবেই সম্পর্ক ভাঙা যায়। আর কোর্টও ডিভোর্সের আবেদনে সিলমোহর দেওয়ার আগে নানাভাবে পর্যবেক্ষণ করে মামলাগুলি। যদি দেখা যায়, সেই বিবাহিতচ সম্পর্কে হিংসা হয়েছে, কারও প্রতি অত্যাচার হয়েছে, কিংবা অন্যায় ভাবে টাকা দাবি করা হয়েছে (proof of cruelty, violence or undue financial demands is presented.), সেক্ষেত্রেই বিয়ে ভাঙার অনুমতি দেয় আদালত।
আবেদনকারীর নাম নির্মল সিংহ পানেসর ( Nirmal Singh Panesar)। বয়স ৮৯। ১৯৬৩ সালে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর স্ত্রী পরমজিৎ কউরের বয়স এখন ৮২। চাকরি সূত্রে Indian Air Force কর্মী। তিনি যখন চেন্নাইতে পোস্টিং পান, তখন তাঁর সঙ্গে সেখানে যেতে চাননি স্ত্রী ( Paramjit Kaur Panesar)।
১৯৯৬ সালে প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন নির্মল। নিষ্ঠুরতা ও তাঁকে ছেড়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ তুলে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন নির্মল। ২০০০ সালে জেলা আদালত তাতে সিলমোহরও দেয়। পরে স্ত্রী পরমজিতের আবেদনের পরই সেই ডিভোর্সের অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় আদালত। এরপর সেই মামলা শীর্ষ আদালত অবধি পৌঁছতে লেগে যায় আরও দুই দশক। সেখানেও সায় পেলেন না নির্মল। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর ডিভোর্সের আর্জি খারিজ করে দেয়।
"বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটিকে এখনও ভারতীয় সমাজে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে একটি ধার্মিক, আধ্যাত্মিক এবং অমূল্য মানসিক সম্পর্ক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।" পর্যবেক্ষণ আদালতের। আদালত এও মন্তব্য করে, এই ডিভোর্সের আবেদনে সায় দিলে পরমজিতের প্রতি অবিচার করা হবে। কারণ আদালতে তিনি জানিয়েছেন, ডিভোর্সি তকমা নিয়ে তিনি মরতে চান না। ওই দম্পতির ৩ সন্তানও রয়েছে।
আরও পড়ুন, এবার ঘোড়ায় আগমন দেবী দুর্গার, দেখে নিন বাঙালির প্রাণের উৎসবের নির্ঘণ্ট !
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial