কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন। একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি। চলে গেলেন বঙ্গ রাজনীতির প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার রাজনৈতিক মহল। 'প্রিয় সুব্রতদার' স্মৃতিতে ডুব দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বললেন- আজ প্রকৃত গুরুকে হারালাম।"           


বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ওঁর সঙ্গে অনেক স্মৃতি রয়েছে। সেগুলি মনে করলেই কষ্ট বাড়ছে। আমি সবে কলেজে ভর্তি হয়েছি। সুব্রতদার একান্ত সচিব বাবলু মুখোপাধ্যায়ের ভাই অচিন্ত্য মুখোপাধ্যায় তিনিই একডালিয়াতে থাকতেন, সেই আমাকে প্রথম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে যান। সালটা ৭১। সেই থেকেই সুব্রতদার সঙ্গে আমার আলাপ।"       


আরও পড়ুন, 'সুব্রতদার দেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়', শোকবিহ্বল মমতা


এরপরই স্মৃতির সরণিতে হেঁটে পার্থ বলেন, "রাজনৈতিক তত্ত্বকথায় নয়, ওঁকে দেখে ছাত্র পরিষদে নাম লিখিয়েছিলাম। আজ আমার প্রকৃত গুরু বিয়োগ হল।"  পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে চলেন, "অসম্ভব মিষ্টি খেতে ভালবাসতেন, মৌরলা মাছ-গুড় খেতে ভালবাসতেন। কত বলব একটা বই হয়ে যাবে সুব্রতদার সম্পর্কে বলতে গেলে। আমার রাজনৈতিক জীবনের গুরু ছিলেন। আজ এমন একটা দিনে হল যখন কালীপুজোর দিনে আঁধার নেমে এল। কত রকম রঙ্গ, রসিকতা হয়েছে। কিন্তু আমুদে মানুষ ছিলেন। সুব্রতদা নেই এটা ভাবতে পারছি না। চিকিৎসা হল, কিন্তু চলে গেলেন। যেমন অকস্মাৎ দেখা হয়েছিল, তেমন অকস্মাৎ আজ বিলীন হয়ে গেলেন। ভীষণ কষ্ট হচ্ছে আজ।"             


আরও পড়ুন, সহকর্মী হিসেবে ওঁকে হারানো অপূরণীয় ক্ষতি, খুব ভেঙে পড়েছেন মমতাদি: ফিরহাদ হাকিম


সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের জীবনের অজানা গল্প জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "সুব্রতদা খুব ভূতে ভয় পেতেন। প্রায়শই ভূত নিয়ে নানা কথাও হত, মজা হত। এই চলে যাওয়াটা এখনও মেনে নিতে পারছি না।"