জয়পুর: নৃশংস এক ঘটনার সাক্ষী হল রাজস্থানের (Rajasthan Shocker) নাগৌর (Nagaur) জেলার বাসিন্দারা। একজন মহিলাকে বেধড়ক মারধরের পর তাঁকে মোটর বাইকের পিছনে বেঁধে গোটা গ্রাম ঘোরালো মদ্যপ স্বামী। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩২ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম প্রেমারাম মেঘওয়াল।
মঙ্গলবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখার পরেই অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় পাঁচোদি থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর সুরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ধৃত ওই যুবক প্রায় মাসখানেক আগে নৃশংস ওই ঘটনাটি ঘটিয়েছে পাঁচৌদি থানার অন্তর্গত নাহারসিংহপুরা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের পর নিজের মোটর বাইকের পিছনে তাঁকে দড়ি দিয়ে বেঁধে গোটা গ্রাম ঘোরায় ওই যুবক। গ্রামবাসীদের মধ্যে কেউ একজন এই ঘটনার ভিডিও মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করলেও কেউ বিষয়টি আটকাতে আসেননি। অন্যদিকে ওই মহিলাও নতুন করে যাতে কোনও গণ্ডগোল না হয় তার জন্য এই বিষয়ে অভিযোগ না জানিয়ে বর্তমানে নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে বসবাস করছেন।
সোমবার নৃশংস ওই ঘটনার ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তে নামে পুলিশ। তারপরই প্রেমারাম মেঘওয়ালকে গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত যুবকের একজন প্রতিবেশী জানান, ১০ মাস আগে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে ওই মহিলাকে কিনে নিয়ে এসে বিয়ে করেছিল প্রেমারাম। তারপর থেকে প্রতিদিনই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করত। এমনিতে কোনও কাজ করত না সে। সারাদিন মদ খেয়েই থাকত।
এপ্রসঙ্গে নাগৌরের পুলিশ সুপার নারায়ন টোগাজ জানান, এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি আমরা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই মহিলা তাঁর বোনের সঙ্গে যাওয়ার কথা বলায় গণ্ডগোলের সৃষ্টি হয়। তারপরই নৃশংস ওই ঘটনা ঘটে। আমরা ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি নাগৌরে এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি যে ভিডিওটি করেছিল কিন্তু ওই যুবককে আটকানোর চেষ্টা করেনি তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।