নয়াদিল্লি: শুরু হতে চলেছে অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra)। শুক্রবারই জম্মু থেকে যাত্রা শুরু করবেন প্রথম ব্যাচের তীর্থযাত্রীরা। জম্মুর ভগবতী নগর বেস ক্যাম্প থেকে শুরু হবে হাঁটা। এখান থেকে কাশ্মীর উপত্যকার বেস ক্যাম্পে যাবেন দর্শনার্থীরা। সেখান থেকেই দক্ষিণ কাশ্মীরের শিবতীর্থ অমরনাথ দেবদর্শনে যাবেন যাত্রীরা। ৩৮৮০ মিটার উচ্চতায় রয়েছে অমরনাথ তীর্থক্ষেত্র। 


শুরু যাত্রা:
১ জুলাই থেকে সরকারি ভাবে শুরু হতে চলেছে এই তীর্থযাত্রা। নানওয়ান-পহলগাম (Pahalgam) এবং বালতাল (Baltal) থেকে যাত্রা শুরু হবে। ৬২ দিন ধরে চলবে এই তীর্থযাত্রা। কেমন এই দুই পথ? সাধারণত অনন্তনাগ জেলার অন্তর্গত নানওয়ান-পহলগাম রুট দিয়ে যান তীর্থযাত্রীরা। ৪৮ কিলোমিটার লম্বা এই রুটে সময় বেশি লাগে। কিন্তু সেরকম চড়াই নয়। এছাড়াও রয়েছে গান্ধেরবাল জেলার অন্তর্গত বালতাল রুট, ১৪ কিলোমিটারের এই রুটে সময় কম লাগলেও মারাত্মক চড়াই রয়েছে এই রাস্তায়। ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে তিনহাজার তীর্থযাত্রী (Pilgrim) জম্মু পৌঁছে গিয়েছেন অমরনাথ যাত্রা করার জন্য। পিটিআই সূত্রের খবর, আগামীকাল জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা অমরনাথ যাত্রার সূচনা করবেন। ১ জুলাই থেকে বালতাম ও পহলগামের দুটি শিবির থেকে যাত্রা শুরু হবে। 


কড়া নিরাপত্তা:
অমরনাথ যাত্রা ঘিরে প্রতিবছরই কাশ্মীরের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জম্মুর ভগবতী বেস ক্যাম্পে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। যে কনভয় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছে, তার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআরপিএফ। এরিয়া ডমিনেশনে রয়েছে সেনা এবং স্থানীয় পুলিশ।


শ্রী অমরনাথ তীর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। ২৯ জুন তীর্থযাত্রীদের থাকার জায়গা পরিদর্শন করেন তিনি। থাকার জায়গা, খাবারের ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবই ঘুরে দেখেন তিনি। রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ এবং জলের ব্যবস্থাও ঘুরে দেখেছেন তিনি। তীর্থযাত্রা উপলক্ষে স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ:
যাঁরা এখনও রেজিস্ট্রেশন করেননি, অথচ অমরনাথ যাত্রা করতে চান। তাঁদের জন্য অন স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সাধারণ তীর্থযাত্রীদের জন্য শালিমার এলাকায় ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরানি মান্ডি এলাকায় রাম মন্দির চত্বরে সাধুদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ডেস্ক করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ৩ লক্ষেরও বেশি তীর্থযাত্রী এখনও পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তীর্থযাত্রীদের পারমিটের সঙ্গে RFID (Radio Frequency Identification ট্যাগ দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রেশন সেন্টার থেকেই এই ট্যাগ দেওয়া হবে। 


এত বড় তীর্থযাত্রায় যাত্রীদের খাবারের ব্যবস্থাও বেশ বড় হয়। তীর্থযাত্রীদের খাবারের জন্য লঙ্গর তৈরি হয় প্রতিবার। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কাজ শুরু করে দিয়েছে লঙ্গর কমিটি। জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের পাশে বিভিন্ন জায়গায় মোট ২২টি লঙ্গর তৈরি হয়েছে।


আরও পড়ুন: বর্ষাতে ভ্যাপসা গুমোট গরম কাটাতে চালাচ্ছেন এসি, মেশিনের খেয়াল রাখতে কী কী করবেন