কলকাতা: 'এই বছর দোল কবে?' চশমার কাচে রঙের হালকা ছোঁয়া থাকলেও, এই বছরের রঙের উৎসবের তারিখটাই ভুলতে বসেছেন তিনি! মনে করিয়ে দেওয়ার পরেই হেসে উঠলেন। বললেন, 'এই হচ্ছে এখনকার অবস্থা, দোল কবে সত্যিই জানতাম না.. প্রায় ১২-১৩ বছর হয়ে গেল দোল খেলি না।' শনিবার ছিল নতুন ওয়েব সিরিজ 'টিকটিকি'-র ট্রেলার লঞ্চ। সেই জমায়েতের মধ্যেই খোশমেজাজে এবিপি লাইভের সঙ্গে আড্ডা দিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য (Anirban Bhattacharyya)। সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে নিজের পরিচিত সাদা কাচের চশমা খুলে, সানগ্লাসটা পরে নিলেন। 'এভাবেই কথা বলব আজ। কখনও সানগ্লাস পরে ইন্টারভিউ দিই নি।'


বহু বছর রঙ মাখেননি, কিন্তু ছোটবেলার দোলের স্মৃতিগুলোর রঙ এখনও ফিকে হয়নি একটুও। কেমন ছিল অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যের ছোটবেলার রঙের উৎসবের দিনগুলো? অভিনেতা বলছেন, 'এখন দোল কবে ভুলে গেছি। ছোটবেলায় মফঃস্ফলের দোলটা সবার যেমন হয়,  আমারও ঠিক তেমনই ছিল। আর সবার কৈশোরের দোলের মতোই। আলাদা করে জামা প্যান্ট বেছে রাখা যে দোলের দিন এই জামাটা পরে খেলতে হবে। বাঁদর রঙ, রানি রঙ.. দুদিন ধরে দোল খেলা হত। কোথায় খাওয়া হবে, নদীতে স্নান করা হবে.. আর এই বছর কবে দোল ভুলেই গিয়েছি। ১২ থেকে ১৩ বছর দোল খেলিনি।'


আরও পড়ুন: প্রথমবার ওয়েব সিরিজে পা কৌশিকের, মুক্তি পেল 'টিকটিকি'-র ট্রেলার


সবচেয়ে মজার রঙিন স্মৃতির দিন মনে আছে এখনও? অনির্বাণ বলছেন, 'বিশেষ কোনও দিন নয়, প্রতিবারই দোলের দিনটা ভীষণ মজা হত। রঙ বেলুন ফুলিয়ে এর ওর গায়ে ছুড়তাম, ভাংয়ের গুলি খেতাম। রঙ উঠতে ৭ থেকে ৮ দিন সময় লাগত। পুরো ঘটনাটাই মজার। এখন এমনই এত রঙ মাখি.. সারাবছর অভিনেতাদের মুখে এত রঙ লাগে.. তাদের আবার আলাদা করে দোল লাগে নাকি!'


একদিকে অভিনয়, অন্যদিকে পরিচালনা, দুইই সমান দক্ষতায় সামলাচ্ছেন অনির্বাণ। ইতিমধ্য়েই মুক্তির দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তাঁর নতুন ছবি 'বল্লভপুরের রূপকথা'-র। অন্যদিকে, ১৮ তারিখ মুক্তি পাবে অনির্বাণের নতুন ওয়েব সিরিজ 'টিকটিকি'। এই সিরিজের সৌজন্যে প্রথমবার এইসঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেবেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য ও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।