গুয়াহাটি: ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি (Assam Floods)। সরকারিভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার কারণে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর ফলে এখনও পর্যন্ত এই বছরে বন্যার কারণে মৃত্যু হল ৭৯ জনের।
অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির তরফে প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও বন্যা পরিস্থিতির আপডেট দিয়ে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ অসমের কাছাড় জেলায় বন্যার কারণে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ধুবুরি, দক্ষিণ সালমারা, ধেমাজি, নওগাঁও এবং শিবসাগর জেলায় মারা গেছেন একজন করে।
ওই বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে যে রাজ্যের ৩৪ জেলার মধ্যে ২৮ জেলার ১৭ লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি মানুষ এবছরের বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবথেকে খারাপ অবস্থা হয়েছে বরপেটা, কাছাড়, গোলাঘাট, শিবসাগর ও নওগাঁও জেলায়। ৫০৭টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ। আর এখনও পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বন্যার জলে।
ব্রক্ষ্মপুত্র নদের জল জোরহাটের নেমাটিঘাট, শোণিতপুরের তেজপুর, গুয়াহাটি ও ধুবুরিতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। আর এই শহরগুলির আশপাশের এলাকায় ইতিমধ্যে বিপদসীমা টপকে গেছে।
আরও পড়ুন: Puri Ratha Yatra Accident: পুরীতে রথ থেকে নামানোর সময় নিচে পড়ে গেল বলরামের মূর্তি
সারা বিশ্বে একশিঙ্গা গণ্ডারের জন্য বিখ্যাত কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে এখনও পর্যন্ত ৯টি গণ্ডারের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি গণ্ডারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাজিরাঙ্গার অধিকর্তা সোনালি ঘোষ। পাশাপাশি বন্যা কবলিত ওই উদ্যান থেকে ২টি গণ্ডারকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অনেক হরিণেরও।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।