কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) হাতে এদিন প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল রামলালার (Ram Lalla)। উদ্বোধন হল রামমন্দিরের। এই আবহে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আবহে বার্তা দিয়েছেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। তাঁর মতে অযোধ্যার রামমন্দির ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক।
মন্দির প্রতিষ্ঠার পুজোর আগেই X হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। তিনি লিখেছিলেন, 'এই পবিত্র দিনে যখনই অযোধ্যা মন্দিরের দোর খুলে যাবে, সেটাই শান্তি ও জ্ঞানের আলোর দরজা হয়ে যাক। সব গোষ্ঠীকে ভারতের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক সুতোয় বেঁধে নেওয়া যাক।'
এদিন রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে কার্যত তারকা সমাগম হয়েছিল। বিনোদন থেকে ক্রীড়া জগতের তারকারা এসেছিলেন এই অনুষ্ঠানে। হাজির ছিলেন শিল্প-বাণিজ্য জগৎ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জগতের হেভিওয়েটরা।
আজ হল প্রাণপ্রতিষ্ঠা:
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বেলা ১২টা বেজে ২৯ মিনিট ৮ সেকেন্ড থেকে ১২টা বেজে ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত মাহেন্দ্রক্ষণে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধানমন্ত্রী। ষোড়শ উপচারে দিলেন পুজো। পুষ্পাঞ্জলির পর করলেন আরতি।
একশো চৌত্রিশ বছরের আইনি বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা-মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ে উল্লেখ করা হয়, অযোধ্যায় বিতর্কিত জমি ‘রামলালার’। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অন্যত্র পাঁচ একর জমি দিতে হবে। সরকার মনে করলে, অধিগৃহীত জমি থেকেই পাঁচ একর জমি তাদের দিতে পারে কিংবা অযোধ্যার অন্য কোথাও জমি দিতে পারে। ট্রাস্ট তৈরি করে অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণ করতে হবে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এস এ নাজির। রায়দানের সময় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তাঁর পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, বাবরি মসজিদ খালি জমিতে তৈরি হয়নি। পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণকে অগ্রাহ্য করা যায় না। নীচে বিশাল কাঠামো ছিল, যা ইসলামিক স্থাপত্যের ধাঁচে নয়। নীচ থেকে পাওয়া জিনিসপত্রও ইসলামিক নয়। সাক্ষ্যেও হিন্দুদের দাবি মিথ্যে প্রমাণিত হয়নি। অযোধ্যা রামের জন্মভূমি, এই দাবিরও কেউ বিরোধিতা করেনি। এরপর করোনা কালের মধ্যেই, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ পর্বের সূচনা করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ছাড়াও, ভূমিপুজোয় অংশ নিয়েছিলেন সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-সহ আরও অনেকে। পুজোর পরে মঞ্চে উঠে রাম মন্দিরের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাম মন্দিরের আন্দোলনকে কার্যত স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'প্রভু রামচন্দ্রের কাছে ক্ষমা চাইছি', প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরেও কেন এমন বললেন মোদি?