কলকাতা: সংরক্ষণ-বিরোধী আন্দোলনের রেশ থামার একদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ জ্বলল প্রবল আন্দোলনে। যে আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোনকে সঙ্গে নিয়েই ছাড়লেন দেশ।                                                                                 


এদিকে, হাসিনার পদত্যাগে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করল সেনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে বাংলাদেশ পরিচালনা করবে সেনা। একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন পড়শি দেশের সেনাপ্রধান।                                                                                               


এখন কী পরিস্থিতি?  


এখনও পর্যন্ত খবর, বাংলাদেশ থেকে কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও অশান্তির আঁচ এখনও জারি রয়েছে বলে খবর। এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের গেট ভেঙে দখল করে নিয়েছে জনতা, অবাধে চলছে লুঠপাঠ।  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙল আন্দোলনকারীরা। ধানমান্ডিতে শেখ হাসিনার কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দিল আন্দোলনকারীরা। এমনকী বঙ্গবন্ধুর বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 


কী বার্তা দিয়েছেন সেনাপ্রধান? 


সেনাপ্রধানের তরফে জানান হয়েছে, 'সব হত্যা-অন্যায়ের বিচার হবে, সংঘর্ষ থেকে বিরত হন'। জামাত, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের। সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন না আওয়ামি লিগের কোনও নেতা। 'সেনাকে আদেশ দেওয়া হয়েছে গোলাগুলির কোনও প্রয়োজন নেই, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আজই সাক্ষাৎ', জানালেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। 


আরও পড়ুন, অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ ছেড়ে দিল্লির পথে হাসিনা, সেনা-শাসন জারি পড়শি দেশে


অন্যদিকে, দেশবাসীকে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার এক বার্তায় তিনি বলেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে আজকের বৈঠক ভাল হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানানোর জন্য।


 
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে